সংবাদদাতা, বারাকপুর : জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর প্রয়াণদিবসে সোমবার সকালে বারাকপুর গান্ধীঘাটে সর্বধর্ম প্রার্থনা সভায় যোগ দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। এছাড়াও ছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ, বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী-সহ প্রশাসনের একাধিক কর্তারা।
আরও পড়ুন-শিল্পের পরিকাঠামোয় জোর
এদিনের অনুষ্ঠানে রামধুন সংগীত পরিবেশন করেন তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের শিল্পীরা। এরপর জাতির জনকের স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে গান্ধীজির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাজ্যপাল ও অন্য অতিথিরা। পরে প্রার্থনা সভাতেও অংশ নেন। এদিন একই সঙ্গে পানিহাটিতে গান্ধীজির স্মৃতিবিজড়িত খাদি আশ্রমের সংস্কারের কাজ শুরু হল। এদিন গান্ধীজির প্রয়াণদিবসে খাদি আশ্রমে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ-সহ গান্ধী অনুরাগীরা। তাঁরা জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। গান্ধীজির প্রিয় রামধুন সংগীতের মধ্যে দিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
আরও পড়ুন-পুরসভার হিসাব দেওয়ার নির্দেশ
সেখানেই নির্মল ঘোষ বলেন, ঐতিহ্যবাহী এই খাদি আশ্রমকে আগেই হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে তার সমস্ত ঐতিহ্য বজায় রেখে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই খাদি আশ্রম সংস্কারের কাজ শুরু হবে। পাশাপাশি একে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য বসানো হবে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড সিস্টেম। তারপরে তিনি আশ্রমের দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গেও কথা বলেন। এদিন প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, আমরা মহাত্মার আত্মত্যাগকে ভুলতে পারি না।