রাত পোহালেই ৩০ সেপ্টেম্বর। ভবানীপুর উপনির্বাচন। আজ, সোমবার প্রচারের শেষ দিন। এদিন সকাল থেকেই তাই বিভিন্ন ওয়ার্ডে সব রাজনৈতিক দল প্রচারে নেমে পড়েছে। ভবানীপুর বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন অংশে ঘুরে দলীয় প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের সমর্থনে প্রচার করলেন রাজ্য বিজেপির নয়া সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
৩ অক্টোবর ইভিএম খোলার পর ভবানীপুরে কী ফলাফল হতে চলেছে, সেটা সুকান্ত ও তাঁর দলের নেতা-নেত্রীদের অজানা নয়। মুখ লুকোতে আগেভাগেই অজুহাত সামনে আনলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। ভবানীপুরে বিজেপির পরাজয় নিশ্চিত বুঝে রিগিং-এর তত্ত্ব খাড়া করলেন বিজেপি সুকান্ত মজুমদার।
আরও পড়ুন-বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলিকে টপকে শ্রম পোর্টালে দুইয়ে বাংলা
এদিন প্রচারে বেরিয়ে তিনি হাস্যকর মন্তব্য করেন। অপরিণত রাজনীতিবিদের মতো সুকান্ত বলেন, তৃণমূলের এক মহিলা সংসদের নেতৃত্বে বিভিন্ন জেলা থেকে বহিরাগতদের এনে ভবানীপুরে রিগিংয়ের ছক কষেছে শাসক দল। কিন্তু সেই সাংসদ কে, তা তিনি স্পষ্ট করেননি।
একদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হবে। কিন্তু রিগিং হবে জেনেও নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ জানান নি কেন? সাংবাদিকদের থেকে এমন প্রশ্ন আসলে ঢোক গিলতে শুরু করেন সুকান্ত মজুমদার। এই মর্মে তিনি বলেন, উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ নেই বলে কমিশনে যাননি তাঁরা। অর্থাৎ, সুকান্তের বক্তব্যেই স্পষ্ট, নিশ্চিত হার বুঝে হাওয়ায় রিগিংয়ের কথা ভাসাচ্ছেন তিনি।
আরও পড়ুন-নিজের অজান্তেই এভাবে টুথব্রাশ রেখে বিপদ ডেকে আনছেন না তো?
রবিবারের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, ১ লাখ ভোটে জিতবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আশ্চর্যের বিষয় হল কেন্দ্রের মন্ত্রীদের এনে প্রচার চালিয়েও ভবানীপুরের মানুষের মনে জায়গা করে নিতে পারেনি বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মুখের উপর বলে দিয়েছে, ভোট তাঁরা মমতাকেই দেবেন। তাই পরাজয় নিশ্চিত, যেতে পারে জামানতই, এসব বুঝেই মুখ লোকাতে রিগিং-এর তত্ত্ব খাড়া করছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।