প্রতিবেদন : মিঠে রোদ আর হালকা হাওয়া গায়ে মেখে এখন গন্তব্য বইমেলা। রাস্তায় সল্টলেক রুটের বাড়তি বাস, মেট্রো। ৪০০টি বইয়ের স্টল, ২০০ লিটল ম্যাগাজিন কর্নার সঙ্গে একাধিক বিদেশি প্রকাশনার সম্ভার এবারের বইমেলার মূল আকর্ষণ। থাইল্যান্ডের প্রকাশনা সংস্থা প্রথম অংশগ্রহণ করেছে এবার। সোমবার ৪৬তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবছরের কলকাতা বইমেলার থিম কান্ট্রি স্পেন। মঙ্গলবার থেকে সকলের জন্য খুলে গিয়েছে বইমেলা।
আরও পড়ুন-ঝাড়খণ্ড ১৭৩, দাপট আকাশ, মুকেশদের
প্রথমদিনই ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বইমেলা চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। উল্লেখ্য, সম্প্রতি সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কের নাম পরিবর্তন করে বইমেলা প্রাঙ্গণ রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বছর সেই বইমেলা প্রাঙ্গণেই হচ্ছে বইমেলা। বইমেলায় আগত দর্শকদের সুবিধা করে দিতে ঢোকা এবং বেরোনোর জন্য মোট ৯টি গেট রাখা হয়েছে বইমেলা প্রাঙ্গণে। এবছর থিম কান্ট্রি যেহেতু স্পেন, তাই স্পেনের টলেডো গেটের আদলে রয়েছে একটি গেট। এছাড়াও বিশ্ববাংলা গেটের আদলেও রয়েছে গেট। বিদেশি প্রকাশনাগুলির জন্য বরাদ্দ বইমেলার বড় দুটি হলকে মাইকেল মধুসূদন দত্ত এবং প্যারিচরণ সরকারের নামে নামকরণ করা হয়েছে, তাঁদের দ্বিশতবার্ষিকী জন্মবর্ষ স্মরণে।
আরও পড়ুন-মেজাজ হারিয়ে ভুল করেছি, নেদারল্যান্ডস ম্যাচের আচরণে অনুতপ্ত মেসি
লিটল ম্যাগাজিন প্যাভিলিয়নের নামকরণ করা হয়েছে লেখক-সম্পাদক রমাপদ চৌধুরির জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে। এছাড়াও মৃণাল সেন এবং তরুণ মজুমদারের নামে একটি প্রেস কর্নার এবং দুটি মুক্তমঞ্চও রয়েছে। এছাড়া শিশুদের প্যাভিলিয়ন আবোল-তাবোলের ১০০ বছর উপলক্ষে তার চরিত্রদের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।