প্রতিবেদন : যে সিবিআইকে ডেকে আনা হয়েছিল একদিন, সেই সিবিআইতেই এখন প্রবল অনাস্থা বিচারপতিদের। হাইকোর্টের ২ বিচারপতির গভীর অসন্তোষের মুখে সিবি আই। দুই কক্ষেই প্রশ্নের মুখে সিবিআই তদন্তের গতিপ্রকৃতি। প্রাথমিকে নিয়োগ মামলার তদন্তে গঠিত সিবিআই সিট থেকে মঙ্গলবার সরিয়ে দেওয়া হল তদন্তকারী অফিসার সোমনাথ বিশ্বাসকে।
আরও পড়ুন-দখলদারিতে কড়া ব্যবস্থা পুরসভার
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের স্পষ্ট নির্দেশ, তদন্তের কাজে আর কোনওভাবেই যুক্ত থাকবেন না তিনি। কোনও ফাইলও যাতে না ধরেন সোমনাথ বিশ্বাস। বিচারপতির নির্দেশ, পরবর্তী পদক্ষেপ করবেন ডিআইজি। এই নিয়ে দু’মাসে ৩ বার কার্যত ভেঙে দেওয়া হল সিবিআইয়ের সিট। নতুন অফিসারের নাম দেওয়ার জন্য বুধবার পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে তদন্তকারী সংস্থাকে। সিবিআইয়ের কাজে এদিন তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুও।
আরও পড়ুন-শুরুতেই জমে উঠেছে বইয়ের উৎসব
রিপোর্টের সঙ্গে আইনজীবীর সওয়ালের মিল না থাকাতেই এই বিরক্তি প্রকাশ। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, সিবিআইয়ের ভূমিকাকে সন্দেহের চোখেই দেখছেন তিনি। সিবিআই ইচ্ছাকৃতভাবে তদন্তে দেরি করাচ্ছে কি না, মঙ্গলবার নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগ মামলার শুনানিতে সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিচারপতি। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের অসন্তোষের কারণ, সিবিআইকে একটি রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল আদালত। তাতে বেশকিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি। কিন্তু এক সপ্তাহ সময় চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।