বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, আলিপুরদুয়ার: কেন্দ্রীয় বাজেটে (Union Budget 2023- Tea Garden) বঞ্চিত চা-বলয়। উত্তরের চা নিয়ে কোনও ঘোষণাই করলেন না কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এর থেকেই বোঝা যায় বাংলার কোনও উন্নয়ন নিয়ে ভাবে না বিজেপি। পুরোটাই তাদের মিথ্যাচার। পাশাপাশি পাহাড়ে জল, রাস্তা, বিদ্যুৎ, কর্মসংস্থানও প্রতিফলিত হল না বাজেটে। অথচ এই মূল্যবৃদ্ধির বাজারে বাংলার সরকার অন্তর্বর্তীকালীন মুজুরি বৃদ্ধি করে চা-শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছে। বুধাবার বাজেটের (Union Budget 2023- Tea Garden) দিকে অনেক আশা নিয়ে তাকিয়ে ছিল গোটা চা-বলয়। কিন্তু আজকের বাজেট হতাশ করেছে চা-শ্রমিক মহল্লাকে। যদিও চা-শিল্প নিয়ে বিজেপির এই ধরনের প্রতারণা এই প্রথম নয়। এর আগে একুশের বিধানসভা ভোটের আগে চা-শিল্পের জন্য হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গড়ার ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার, কিন্তু প্রায় দু বছর পেরিয়ে গেলেও সেই তহবিলের এক টাকার মুখ কোনও চা-শ্রমিক আজও দেখেনি। কেন্দ্রের তরফে বন্ধ চা-বাগান খুলে দেবার প্রতিশ্রুতি আজও পূরণ হয়নি। যদিও রাজ্য সরকার একের পর এক বন্ধ বাগান খুলে দিয়ে শ্রমিকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। রাজ্য সরকারের ঐতিহাসিক প্রকল্প চা-সুন্দরী, চা- শ্রমিকদের জন্য রাজ্য সরকারের সহমর্মিতার এক অনন্য নিদর্শন হিসেবে উঠে এসেছে এই কেন্দ্রের বঞ্চনার সময়ে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল চা-শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীরেন্দ্র বাড়া ওঁরাও বলেন, আগের বার কেন্দ্র হাজার কোটি টাকার তহবিল গড়ার কথা বলেছিল চা-শ্রমিকদের উন্নয়নে, সেই টাকা আমরা চোখে দেখলাম না, এবার অন্তত আশা করেছিলাম ভাল কিছু করবে চা-শ্রমিকদের নিয়ে, কিন্তু চা-বলয় এই বাজেটে হতাশ।