সংবাদদাতা, হাওড়া : পরিযায়ী পাখিগণনা হাতে-কলমে শেখানোর উদ্যোগ নিল শিবপুর দীনবন্ধু কলেজের ইকোলজি ও বায়ো-ডাইভারসিটি ইউনিট এবং রাজ্য বায়ো-ডাইভারসিটি বোর্ড। এই উপলক্ষে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কলেজের স্নাতক ও স্নাতকোত্তরস্তরের শতাধিক ছাত্রছাত্রী ও গবেষকদের নিয়ে সাঁতরাগাছি ঝিলে কর্মশালা হয়ে গেল।
আরও পড়ুন-আধার সংযুক্তিতে ফের কড়া বার্তা
এখানে শিবপুর দীনবন্ধু কলেজের প্রাণিবিদ্যার অধ্যাপক শুভেন্দু মজুমদার, মহম্মদ এক্রামুদ্দিন, শ্রীরামপুর কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক শুভদীপ সরকার ছাত্রছাত্রীদের এই কর্মশালায় পরিযায়ী পাখিদের কীভাবে গণনা করতে হবে তা বুঝিয়ে দেন। সেইসঙ্গে কী ধরনের প্রজাতির পরিযায়ী পাখি সাঁতরাগাছি ঝিলে এসেছে তা-ও ঘুরে দেখেন তাঁরা। সেইসঙ্গে নর্দার্ন পিনটেল জাতীয় ট্রান্স হিমালয়ান পরিযায়ী পাখি আসার সংখ্যা কেন কমে যাচ্ছে তা-ও তাঁরা ছাত্রছাত্রীদের ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দেন। পরিযায়ী পাখি চেনার পাঠও দেওয়া হয় এই কর্মশালায়। তাঁদের এই কর্মশালায় সহযোগী হিসেবে ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গবেষক অন্তরা সরকার ও শৌভিক বারিক। ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বায়োডাইভারসিটি বোর্ডের সিনিয়র রিসার্চ অফিসার ড. সৌমেন্দ্রনাথ ঘোষ, শিবপুর দীনবন্ধু কলেজের অধ্যক্ষ মণিদীপ চন্দ্র-সহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন-হোন আসল মাস্টারমাইন্ড
অধ্যাপক শুভেন্দু মজুমদার বলেন, ‘গত ২ বছরের তুলনায় এবার সাঁতরাগাছি ঝিলে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। এখানকার পরিবেশ ও পরিকাঠামো পরিযায়ী পাখি আসার উপযুক্ত করে গড়ে তোলাতেই পরিযায়ী পাখি আসার সংখ্যা বেড়েছে। সরাল জাতীয় পরিযায়ী পাখি এবার পর্যাপ্ত সংখ্যায় এসেছে।’