প্রতিবেদন : সোমবারের পর মঙ্গলবারও কেঁপে উঠল তুরস্ক। এদিন মধ্য তুরস্কের বিস্তীর্ণ এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৬। সোমবারের কম্পনের পর মঙ্গলবার সকাল থেকেই জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। তুরস্ক ও সিরিয়া পাশাপাশি এই দুই দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা কার্যত মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে একের পর এক বাড়ি। সোমবারের পর মঙ্গলবারও সর্বত্রই জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ।
আরও পড়ুন-এ মাসেই চলবে নতুন পথে মেট্রো
ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া মানুষকে উদ্ধারেই সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুই দেশে মৃতের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। আশঙ্কা, উদ্ধারকাজ শেষ হলে আরও বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর মিলবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আশঙ্কা, দুই দেশে মৃতের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। তুরস্ক ও সিরিয়ার এই বিপর্যয় নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তুরস্কের ভূমিকম্প বিধ্বস্ত ১০টি প্রদেশে তিন মাসের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট এরদোগান।
আরও পড়ুন-মিড ডে মিলের কাজ দেখে খুশি কেন্দ্রীয় দল, স্কুলে স্কুলে কিচেন গার্ডেন
তুরস্কের আকাশ-বাতাসে এখন শুধুই কান্নার আওয়াজ। সর্বস্ব খুইয়ে পথে বসে আছেন বহু মানুষ। মাথার ছাদটুকু মাটিতে মিশে গিয়েছে। এরই মাঝে বিরূপ হয়েছে প্রকৃতিও। সোমবার বিকেল থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। সন্ধ্যা নামতেই প্রবল ঠান্ডা। গৃহহীন মানুষগুলো কার্যত সেই বৃষ্টির মধ্যে ভিজে ভিজেই হেঁটে চলেছেন একটু নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য। প্রতিকূল প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে উদ্ধারকাজও ব্যাহত হচ্ছে। প্রবল কম্পনের তুরস্কের হাতায়ে প্রদেশে বিমানবন্দরের রানওয়ে পুরোপুরি দু’ভাগ হয়ে গিয়েছে। সেদেশের বেশ কয়েকটি বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা সম্পূর্ণ বন্ধ। এরই মধ্যে ভূবিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন সেখানে আরও বড় মাপের কম্পন অনুভূত হতে পারে। তুরস্কের মতো একই অবস্থা সিরিয়ার। সেখানেও কয়েক হাজার বাড়ি মিশে গিয়েছে মাটিতে। দুই দেশেই এদিন বহু মানুষকে ভেঙে পড়া ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নিকট আত্মীয়দের সন্ধান করতে দেখা গিয়েছে।