নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি : আদানি ইস্যুতে সংসদের বাইরেও সরব তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার সকালে নয়াদিল্লির কনটপ্লেসের যন্তরমন্তরে এলআইসি অফিসের সামনে মুখে কালো কাপড় বেঁধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভা এবং রাজ্যসভার সাংসদরা। সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ সংসদ ভবনের দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখান থেকে সোজা দলীয় সাংসদরা চলে যান এলআইসি অফিসের সামনে। লোকসভা এবং রাজ্যসভার বেশিরভাগ সাংসদ উপস্থিত ছিলেন এদিনের বিক্ষোভে। একই ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত সাংসদরা বুধবারও সকাল দশটা নাগাদ রাজধানী দিল্লির স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাবেন।
আরও পড়ুন-তুরস্ক ও সিরিয়ার কম্পনে মৃত্যু পাঁচ হাজার পেরল
মঙ্গলবারের বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের মুখ্যসচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। ছিলেন সৌগত রায়, শান্তনু সেন, জহর সরকার, মহুয়া মৈত্র, অপরূপা পোদ্দার, সাজদা আহমেদ, নাদিমুল হক, সুব্রত বক্সি, প্রতিমা মণ্ডল, আবু তাহের, আবিররঞ্জন বিশ্বাস, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তা ছেত্রী, মৌসম বেনজির নুর। বিক্ষোভ চলাকালীন সময়ে এলআইসির এক আধিকারিক তৃণমূল সাংসদদের বিক্ষোভ প্রদর্শনে বাধা দেন। তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ওই আধিকারিক।
আরও পড়ুন-এ মাসেই চলবে নতুন পথে মেট্রো
লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে সাফ জানান, কথা যদি বলতেই হয় আমি আপনাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। তাঁকে ডেকে আনুন। তৃণমূল সাংসদরা এদিন স্লোগান দেন, সেবি কর্তাকে গ্রেফতার করতে হবে। ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং নির্মলা সীতারামনের নীরবতা নিয়েও। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আদানি নিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন নীরবতা পালন করে এসেছেন। আমরা লোকসভায় আদানি ইস্যুতে আলোচনা চাই। বিরোধী ঐক্য অক্ষুণ্ণ রেখেই আমরা আলোচনা চাই। বিরোধীদের পথ দেখাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার দিল্লির স্টেট অফ ইন্ডিয়ার সদর দফতরের সামনে আদানি ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখাবে দল।