সংবাদদাতা, হাওড়া : ‘দিদির দূত’ (Didir Doot) কর্মসূচিতে আপ্লুত হাওড়ার মানুষ। এই কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষ সরাসরি তাঁদের বক্তব্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাতে পারছেন। এতদিন এমন দৃষ্টান্ত সারা দেশে ছিল না। তৃণমূল কর্মীরা মোবাইলে ‘দিদির দূত’ (Didir Doot) অ্যাপ নিয়ে মানুষের দুয়ারে পৌঁছে যাচ্ছেন। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পগুলি মানুষকে ভালভাবে বুঝিয়ে কারওর কোনও সমস্যা আছে কি না জানতে চাইছেন। সমস্যা থাকলে সঙ্গে সঙ্গে মোবাইলে দিদির দূত অ্যাপের মাধ্যমে তা নথিভুক্ত করছেন। নথিভুক্ত ওই বক্তব্য সরাসরি পৌঁছে যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। এই অ্যাপে জানানো তাঁদের বক্তব্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ অবধি পৌঁছে যাচ্ছে শুনে অভিভূত হাওড়ার মানুষ। সেরকমই চরা পাঁচলা পঞ্চায়েতের বাসিন্দা শেখ সইফুই বললেন, ‘‘আমাদের বক্তব্য যে আমরা বাড়িতে বসেই মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে পারব তা কোনওদিন ভাবতে পারিনি। সত্যি এ এক অভূতপূর্ব উদ্যোগ। দলের নেতা-কর্মীরা এই মোবাইল অ্যাপ নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন।
সরকারি বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পগুলির বিষয়ে আমাদের অবহিত করে এই ব্যাপারে কোনও বক্তব্য থাকলে তা-ও মোবাইলে নথিভুক্ত করা যাবে বলে জানান। আমি আমার পেনশন সংক্রান্ত বক্তব্য নথিভুক্ত করি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এটা দেখে খুবই ভাল লাগছে যে দলের নেতারা অভিযোগ জানতে আমাদের বাড়িতে আসছেন। সেইসঙ্গে আমরা বাড়িতে বসেই দিদির দূত অ্যাপের মাধ্যমে আমাদের সমস্যাগুলি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে পারছি। হাজারো ব্যস্ততার মধ্যেও মুখ্যমন্ত্রী প্রতিটি বক্তব্য দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দিচ্ছেন। এমন ব্যবস্থা দেশের কোনও রাজ্যেই নেই। এই উদ্যোগের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমরা কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এর ফলে মানুষ আরও দ্রুত সরকারি পরিষেবা পাবে।’’ হাওড়া জেলা (গ্রামীণ) যুব তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দিদির দূত কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রামবাসীদের কাছে পৌঁছনোর ও তাঁদের অভিযোগ জানানোর সুযোগ দিয়েছেন। মোবাইল অ্যাপে অভিযোগ জানানোর ফলে সমস্যার সমাধানে মানুষকে আর কোথাও যেতে হচ্ছে না। আমরা মোবাইল অ্যাপের বিষয়ে মানুষকে অবহিত করছি।”
আরও পড়ুন-বইমেলায় অগ্নিকাণ্ড রুখতে পদক্ষেপ রাজ্য প্রশাসনের, কী বললেন মেয়র?