প্রতিবেদন: দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনা মতো হলদিয়া শিল্পনগরী জুড়ে সর্বাত্মক প্রচারে নামছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার হলদিয়ার মাখনবাবুর বাজারের জনসভা থেকে সেই বার্তাই দিলেন দলীয় নেতৃবৃন্দ। জনসভার আগে এদিন বৈঠকে বসেন হলদিয়ার স্থানীয় নেতৃত্ব। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
আরও পড়ুন-পরিষদীয় রীতি লঙ্ঘন বিজেপির
বৈঠকে স্বচ্ছতার সঙ্গে হলদিয়া শিল্পনগরীতে দলের শ্রমিক সংগঠন কীভাবে কাজ করছে তা নিয়ে আলোচনা হয়। এই কাজে আইএনটিটিইউসি-র সঙ্গে মূল দল কীভাবে সমন্বয় রেখে কাজ করবে তারও পরিকল্পনা করা হয়। বৈঠকের পর এক পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। তারপর মাখনবাবুর বাজারে জনসভায় সর্বাত্মক প্রচারে নামার আহ্বান জানান বক্তারা। কুণাল বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথ ধরে হলদিয়ার দলের শ্রমিক সংগঠন স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করছে। বিশেষ করে কারখানায় শ্রমিক নিয়োগে দুর্নীতি বন্ধ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি তিনি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের জনবিরোধী নীতির সমালোচনা করেন। উল্টোদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারে জনমুখী প্রকল্পগুলির কথাও মনে করিয়ে দেন। এ প্রসঙ্গে কুণার হলদিয়ার দুটি গ্রামের উদাহরণ তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন-চাকরি গেল গ্রুপ ডি-র ১৯১১ জনের
স্বাধীনতার পর কিছুদিন আগে পর্যন্ত বন্দরনগরীর দুটি গ্রাম কোনওদিন বিদ্যুতের আলো দেখেনি। রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের তৎপরতায় মাত্র এক মাসের চেষ্টায় গ্রাম দুটিতে বিদ্যুৎ পৌঁছে গিয়েছে। ৩৪ বছরের বাম জমানা, অধিকারী রাজে যা সম্ভব হয়নি তা এক মাসেই করে দেখালো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এতেই প্রমাণিত এই সরকারই পারে উন্নয়ন করতে। এদিনের মঞ্চেই গত নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী ব্রজেন্দ্র মাইতি তৃণমূলে যোগদান করেন। ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বক্তৃতায় হলদিয়ায় আইএনটিটিইউসি-র শ্রমিক নীতিগুলি তুলে ধরেন। শিল্পাঞ্চলে কীভাবে দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছতার সঙ্গে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন কাজ করছে তাও জানান।
আরও পড়ুন-ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগে ৫ ঘণ্টা জেরা
সভায় এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুধাংশু মণ্ডল, দেবপ্রসাদ মণ্ডল, সুতাহাটা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি কমলেশ চক্রবর্তী, হলদিয়া শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি স্বপন নস্কর, হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন সিআইসি আজিজুল রহমান, বিকাশ জানা, জয়হিন্দ বাহিনীর তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি জ্যোকতিপ্রসাদ দাস-সহ দলীয় নেতৃবৃন্দ।