অনীশ ঘোষ: তখন শুক্রবারের ভরা বিকেল। শনি-রবিবারও যেন হার মেনেছে মানুষের টানে। মেলার মাঠ আক্ষরিক অর্থেই জনসমুদ্রে পরিণত। যতই সময় গড়াচ্ছে সন্ধে থেকে রাতের দিকে ভিড় বাড়ছে মেলার আনাচে-কানাচেও। জাগোবাংলার ঠাকুর দালান রূপী স্টলের বাঁহাতে সাংস্কৃতিক মঞ্চে তখন শিল্পীর কণ্ঠে রবি ঠাকুরের সার্থক জনম আমার ইথার তরঙ্গে ভেসে যাচ্ছে চারপাশে। মোহিত হয়ে শুনছেন চেয়ারে উপবিষ্ট উৎসুক শ্রোতারা, যাঁদের একটু পরেই মন্ত্রমুগ্ধ করে ফেলবেন গ্রাম-বাংলার লোকশিল্পী। বাংলার সর্বজনীন দুর্গোৎসব এখন মুখ্যমন্ত্রীর কল্যাণে বিশ্বজনীন।
আরও পড়ুন-টানা ১১ দিন বাতিল একাধিক ট্রেন, হাওড়া-বর্ধমান শাখা
বাংলার মুকুটের এই নতুন পালকই এবার জাগোবাংলার মণ্ডপভাবনা। তাই সপরিবার মা দুর্গার নয়নশোভন মৃন্ময়মূর্তি সেখানে সসম্মানে বিরাজমান। আর তাঁর সেই বেদির সামনে, ডানে ও বামে বাংলার নিজের মেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এ পর্যন্ত প্রকাশিত ১৩৪ গ্রন্থের পাশাপাশি ১১ সিডির সম্ভার টেবিল জুড়ে। স্টলে আসছেন যাচ্ছেন মন্ত্রী, বিধায়ক, দলীয় নেতা ও বিভিন্ন পদাধিকারীরাও। সব মিলিয়ে জমজমাট এই স্টল। বইমেলায় বই তো থাকবেই। নতুন, পুরনো, দুষ্প্রাপ্য এবং নানা বিষয়ে। সঙ্গে আছে খাবারদাবার, হস্তশিল্পকর্ম, গানবাজনা, কুইজ ও কবিতাপাঠের ছোট-বড় আসর। আর আছে তরুণদের নতুন পত্রিকা ও কাব্যগ্রন্থের গন্ধ। ভিড় মূলত লিটল ম্যাগাজিন মণ্ডপে।
আরও পড়ুন-স্বাস্থ্যে নিয়োগ নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করছে কমিশন
বই কেনা ছাড়াও এখানে মানুষ মানুষের কথা শোনে। সেলফি তোলে, খায়দায় আর আড্ডা দিতে জড়ো হয়। যেমন বহু মানুষের আকর্ষণ ছিল এসবিআই অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কলকাতা লিটারারি মিটের দ্বিতীয় সন্ধ্যার আলোচনাটি। শেষ মুহূর্তে মাঠে পৌঁছে গেলেন মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। এসবিআই অডিটোরিয়ামে তাঁর গানে গানে এদিনের মতো মাঠে ছড়িয়ে পড়ল শেষের রেশ। বাকি দুটো দিন বইমেলার ছক্কা হাঁকানোর দিন।