প্রতিবেদন : ২০২২ সালে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে বদল করতে হয়েছে। এবার ২০২৩-এ সরকার বদল হবে৷ তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে নতুন ত্রিপুরা গড়ে উঠবে। সোমবার ত্রিপুরার বক্সানগরের সভায় বললেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Tripura- Abhishek Banerjee)। একই সঙ্গে তাঁর সাফ কথা— বাংলার মানুষ যদি নিজেদের ভবিষ্যৎ ঠিক করতে পারে, তবে ত্রিপুরার মানুষ কেন পারবে না! এত বছর আপনারা সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপিকে (CPM-Congress-BJP) দেখেছেন। ত্রিপুরার জন্য কোনও রাজনৈতিক দল কিছু করেনি। তৃণমূল কংগ্রেসই একমাত্র বিকল্প। আমরা সরকারে এলে এক মাসের মধ্যে সাড়ে ছয় লক্ষ গৃহকর্ত্রী মাসে ১ হাজার টাকা করে পাবেন। বাংলার উন্নয়ন-মডেল ত্রিপুরাতেও চালু হবে। সোমবারও প্রচারে ত্রিপুরায় ঝড় তুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে একাধিকবার দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার করেছেন। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) রোড-শো করেছেন। প্রচারের শেষ লগ্নেও এক ইঞ্চি জমি না ছেড়ে চোখে চোখ রেখে লড়াইয়ে উৎসাহ জুগিয়েছেন দলীয় প্রার্থী-নেতা-কর্মীদের। এদিন বিজেপিকে তোপ দেগে ত্রিপুরাবাসীকে সতর্ক করে বলেন, ওরা টাকা দিয়ে ভোট কেনে। তাঁর সংযোজন, বিজেপির লোকেরা আপনাদের বাড়ি যাবে, টাকা দেবে। আমি বলব, ওরা টাকা দিলে নিয়ে নেবেন। কারণ, এটা আপনাদেরই টাকা। গত পাঁচ বছর আপনাদের কাছ থেকে যে লুঠ করেছে সেই টাকাই আপনাদের দেবে। এই টাকা বিজেপির পৈতৃক সম্পত্তি নয়। আপনাদের কাছ থেকেই লুঠ করা টাকা। পদ্মের থেকে টাকা নিন, কিন্তু ভোট দিন তৃণমূলকে। বিজেপি জিতলে রান্নার তেলের দাম দুশো থেকে হবে চারশো টাকা। পেট্রোল-ডিজেল-রান্নার গ্যাসের দামও বাড়বে। ২০২১-এ বাংলায় তৃণমূলের কাছে হেরেছিল বলে দাম কমেছিল। এটা প্রমাণিত, বিজেপি হারলে দাম কমে।
আরও পড়ুন-মোদির আচ্ছে দিন, ৩ বছরে আত্মঘাতী ১ কোটি ১২ লাখ দিনমজুর, লোকসভায় প্রকাশ তথ্য
বাংলার (West Bengal) সঙ্গে ত্রিপুরার (Tripura- Abhishek Banerjee) তুলনা টেনে অভিষেক বলেন— ভাষা, খাদ্য, পোশাক সবই এক বাংলা ও ত্রিপুরার। তাই কে প্রার্থী মনে রাখার দরকার নেই। সব আসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রার্থী। জোড়া ফুলে ভোট দেওয়া মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেওয়া। তৃণমূল কংগ্রেসকে বিজেপি বলছে বহিরাগত! যারা নিজেরা মঞ্চের ব্যানারে কী লেখা আছে পড়তে পারে না, নমস্কার বলতে পারে না। সুনার বাংলা গড়ব বলে— তারা আমাদের বলছে বহিরাগত! তীব্র কটাক্ষ দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের। এরপরই অভিষেক বলেন, ত্রিপুরার মানুষকে বলব, কষিয়ে গণতন্ত্রের চড় মারুন ১৬ তারিখ। আপনাদের একটা ভোটেরও অনেক দাম। এদের উৎখাত করুন যাতে সোনার ত্রিপুরা গড়তে পারি৷ আমি এই লড়াইয়ের শেষ দেখে ছাড়ব। বিজেপি-সিপিএমের যা জেদ, আমার তার থেকে দশ গুণ বেশি জেদ। আমি মাটি ছেড়ে কোথাও যাব না। তৃণমূল কংগ্রেসকে সুখে না পান, বিপদে সব সময় পাশে পাবেন। তৃণমূল কংগ্রেস সরকারে এলে সুবিধা আট থেকে আশি সবাই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। আয়ুষ্মান ভারতে এই সুবিধা নেই। এখন ভোটের সময় অনেক নেতা আসছে। ভোটি মিটলে কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। গত পাঁচ বছরে কিছু করেনি আগামী দিনেও করবে না। চ্যালেঞ্জ করছি বিজেপি গত পাঁচ বছরের রিপোর্ট কার্ড পেশ করুক। আমি বাংলার রিপোর্ট কার্ড পেশ করব। সাফ কথা অভিষেকের। তাঁর এ-দিনের সভাতেও ছিল উপচে-পড়া ভিড়।