প্রতিবেদন : উপচে পড়া ভিড় ও মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদান। সাময়িক বিভ্রান্তি কাটিয়ে ফের তৃণমূলেই আস্থা নন্দীগ্রামের। মঙ্গলবার নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়া ও হরিপুর দুটি সভাতেই দেখা গেল একই ছবি। প্রথম সভা ছিল ভেকুটিয়ার জেলেমারা গ্রামে। সভা ঘিরে স্থানীয় মানুষের মধ্যে তুমুল উৎসাহ। পুরুষদের পাশে হাজির মহিলারাও। বাইক মিছিলে জনস্রোত।
আরও পড়ুন-মাটি খুঁড়ে ৭ বছর নিখোঁজের দেহাংশের সন্ধান
সাইকেলে চড়ে তাতে শামিল হলেন তৃণমূলের রাজ্যর সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলার চেয়ারম্যান পীযূষ ভুঁইয়া, নন্দীগ্রাম ব্লক-১-এর সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ-সহ অন্যরা। এই সভায় বিজেপির মণ্ডল সভাপতির ভাই-সহ স্থানীয় বিজেপির বেশ কয়েকজন নেতা ও কর্মী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে শামিল হতে তৃণমূলে যোগদান করেন। সেই মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন সভার প্রধান বক্তা কুণাল ঘোষ। কুণাল বলেন, দুটো সরকার চলছে। একটা কেন্দ্রীয় সরকার। যাঁরা প্রতিদিনই মানুষের বেঁচে থাকা ক্রমশ কঠিন করে তুলছে। খাদ্য-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বেড়েই চলেছে। বাড়ছে বেকারত্ব, জ্বালানির দাম আকাশছোঁয়া।
আরও পড়ুন-৮ কোটিতে রাজ্য গড়ছে হলদিয়ায় সি ফুড প্রসেসিং সেন্টার, বাড়বে রফতানি ও কর্মসংস্থান
এর পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্য সরকার। প্রায় ৭৫টিরও বেশি জনমুখী প্রকল্প। কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, দুয়ারে সরকার থেকে নিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো একের পর এক জনপ্রিয় প্রকল্প নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। এরই পরই স্থানীয় বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন কুণাল। কুণাল বলেন, শুভেন্দু এখন ভয়ে যে কোনও ছুতোয় নন্দীগ্রাম থেকে পালাতে চাইছে। মামলা শেষ হওয়া পর্যন্ত ও নন্দীগ্রামে থাকতে চাইছে না। কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের গ্রেফতার করানো হচ্ছে, হেনস্তা করা হচ্ছে। যাঁরা এসব করছেন তাঁরা সতর্ক থাকুন। মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি, এসব বেশিদিন চলবে না। চলবে না ধর্মের নামে রাজনীতি। যাঁরা এসব করছেন তাঁরা ভেজাল হিন্দু, তাঁরা হিন্দুদেরও বন্ধু নয়, মুসলমানেরও বন্ধু নয়। পরের সভা ছিল হরিপুরে। সেখানে বিজেপির মদতে স্থানীয় কিছু তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ভয় দেখিয়ে উচ্ছেদ করার চেষ্টা হচ্ছে বলে কয়েকজন মহিলা কুণালকে অভিযোগ জানান। কুণাল, বাপ্পাদিত্যরা তাঁদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, এর জন্য তৃণমূলের আইনজীবী টিম এখানে আসবে। তাঁদের অধিবেশন বসবে। এই নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন-ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে সাইকেলে ঢাকা পাড়ি
কুণালের আশ্বাসে হাততালিতে ফেটে পড়ে সভা। মহিলারা জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সব প্রকল্পের সুবিধা তাঁরা পাচ্ছেন। সেই সঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে থাকারও অঙ্গীকার করেন তাঁরা। এরপর স্থানীয় দাউদপুরে নজরুল মেলার উদ্বোধন করেন কুণাল ঘোষ। মেলায় আয়োজক সামসুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন সুপ্রকাশ গিরি, আসগর আলি পল্টু, বাপ্পাদিত্য গর্গ, অরুণাভ ভুঁইয়া-সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।