কেন্দ্রের আর্থিক সহায়তা না পাওয়া সত্ত্বেও রাজ্যের বাজেট পেশ করলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, তার ওপর সামনে পঞ্চায়েত ভোট এবং লোকসভা ভোট। সব কিছু সামলে পেশ হল এবারের রাজ্য বাজেট যেখানে সকলের সুবিধা অনুযায়ী বলা যায় সন্তোষজনক। রাজস্ব ঘাটতিও নিয়ন্ত্রণে রাখার চ্যালেঞ্জ চন্দ্রিমার সামনে। এবার ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৬২ হাজার বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘আমি মনে করি যে কৃষক, যুব প্রজন্মের জন্য এই বাজেট হয়েছে। এটা কর্মসংস্থানের বাজেট। কোটি-কোটি মানুষ চাকরি পাবেন।’ এদিন বিবিসিতে আয়কর হানা নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘এই আক্রমণ প্রতিহিংসা ছাড়া অন্য কিছু নয়। হিটলারী মনোভাবের পরিচয়। এরা জুডিশিশারিকেও নিয়ন্ত্রণ করছে। একমাত্র জুডিশিয়ারিই পারে নিরপেক্ষভাবে চলতে পারে দেশ’।
চা শিল্প এবং চা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের জন্য ছাড় দেওয়া হচ্ছে। বিধায়কদের বরাদ্দ বাড়ানো হল, ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। খাদ্যসাথী প্রকল্পে ৯ কোটির বেশি মানুষকে যুক্ত করা হয়েছে। দেউচা পাঁচামির কাজ সন্তোষজনকভাবে এগোচ্ছে। অনগ্রসর ওবিসি পড়ুয়াদের জন্য বৃত্তি, উপকৃত হচ্ছেন পড়ুয়ারা।
নয়া প্রকল্পে মৎস্যজীবীদের অকাল প্রয়াণে তাঁদের পরিবারকে ২লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। ৩হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-রাজ্যের নতুন মুখ্য তথ্য কমিশনার হলেন প্রাক্তন ডিজি সি বীরেন্দ্র
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের সরকারি কর্মচারীরা ব্যাংকক ঘুরতে যেতে পারেন। ১০ বছরে একবার মালয়েশিয়ায় যেতে পারেন। তাঁরা শ্রীলঙ্কায় যেতে পারেন, বাংলাদেশে যেতে পারেন। ভুটানে যেতে পারেন। তাঁদের এইসব সুবিধা আছে। পাঁচ বছরে একবার বাইরেও যেতে পারেন।’
আরও পড়ুন-অশান্তির মোকাবিলায় তৃণমূল
এদিন তিনি আরও বলেন, ‘অর্থ প্রতিমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সর্বশ্রেণির মানুষকে যতটা পেরেছি, এবারের রাজ্য বাজেটে ততটা সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা সত্ত্বেও আমরা সেটা করতে পেরেছি। কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা সত্ত্বেও আমি সুযোগ- সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’
রাজ্য বাজেটে তিন শতাংশ ডিএ ঘোষণার পর বিধানসভায় রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়ে আবির খেললেন। অর্থমন্ত্রীকেও ধন্যবাদ জানালেন