কাবুল : আশঙ্কাই সত্যি হল। ফের অন্ধকার জমানা শুরু আফগানিস্তানে। সরসরি কোপ পড়ল নারীশিক্ষায়। কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ হল মেয়েদের পড়াশোনা।
নয়া তালিবানি ফতোয়ায় ঘোষণা করা হয়েছে, আপাতত আফগান ছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না। ছাত্রদের সঙ্গে এক ছাদের তলায় শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ পাবে না ছাত্রীরা, এমন ফতোয়া জারি করেই এই সিদ্ধান্ত। এর আগে ইসলামি পোশাক পরে ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয় আসতে পারবে বলে ঘোষণা করেছিল তালিবান। কিন্তু কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া তালিবানপন্থী অধ্যক্ষ বুধবার জানিয়েছেন, যতদিন না দেশে প্রকৃত ইসলামিক পরিবেশ তৈরি হচ্ছে ততদিন ছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া সম্ভব নয়। মেয়েদের উচ্চশিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেওয়া এই ফতোয়ার নিন্দায় সরব বিশ্বের নানা দেশ ও সচেতন নাগরিক সমাজ। দিন কয়েক আগে উচ্চশিক্ষিত ও বর্ষীয়ান মহম্মদ ওসমান বাবুরিকে সরিয়ে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করা হয় নামমাত্র স্নাতকধারী তালিবানপন্থী আশরফ গৈরাটকে। যার প্রতিবাদে ইস্তফা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০ জন শিক্ষক। বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য আফগানিস্তানের প্রগতিশীল শিক্ষিত মহল আশরফকে পছন্দ করে না। মেয়েদের স্কুল প্রসঙ্গে তিনি কয়েকদিন আগে বলেছিলেন, এগুলি হল যৌনদাসী তৈরির কারখানা। এসবের প্রয়োজন নেই।
এদিকে, আফগানিস্তানে এখনও সেনা মোতায়েন রাখা উচিত বলে মনে করছেন মার্কিন সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্তারা। মঙ্গলবার রাতে সেনেটের এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে সেনা কর্তারা এই কথা জানিয়েছেন। ওই বৈঠকে সেনা কর্তারা বলেন, তালিবান এখনও আল-কায়েদার মতো জঙ্গিদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। যা গোটা দুনিয়ার পক্ষেই অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তাই এখনও আফগানিস্তানে সেনা মোতায়েন রাখা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: ভোটের আগে ছন্নছাড়া পাঞ্জাব কংগ্রেস, সিধুর ইস্তফার পর এবার শাহের সঙ্গে বৈঠক অমরিন্দরের