জঙ্গলমহল সফরের শেষ দিনে শুক্রবার, বাঁকুড়ায় সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে গিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee slams BJP)। বিজেপিকে ‘বসন্তের কোকিল’ বলে কটাক্ষ করেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো। তাঁর কথায়, বিজেপি ‘ভোট পাখি’! ভোটের আগে আসে আর তারপরে তাদের আর পাত্তা পাওয়া যায় না। উন্নয়নে পাশে থাকে রাজ্য সরকারই। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “বিজেপি উচ্ছেদ করে। আর আমরা জমি থেকে উচ্ছেদ করি না পাট্টা দিই”।
বাঁকুড়ার বালুচরী শাড়ি থেকে শুরু করে টেরাকোটা-ডোকরা শিল্প এবং পর্যটন। এই সব কিছুই এলাকার উন্নয়নে ‘Key ফ্যাক্টর’ হয়ে উঠতে পারে বলে মত মুখ্যমন্ত্রীর। আর সেই উন্নয়নের বিষয়ই এখন জোর দিতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee slams BJP)।
আরও পড়ুন: উচ্ছেদের চেষ্টা হলে ভুগতে হবে রেলকে, হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতার
বাঁকুড়ার আরেক সমস্যা জল। সেই সমস্যার সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ২০২৪-এর মধ্যে ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার সংকল্প রয়েছে রাজ্য সরকারের। মুকুটমণিপুর থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যটনস্থল রয়েছে বাঁকুড়ায় সেগুলোর উন্নয়নের বিষয়েও জোর দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানান, “২০২৪ সালের মধ্যে বাঁকুড়ার ঘরে ঘরে নলবাহিত জল পৌঁছে যাবে। বাঁকুড়ায় আগে জল পাওয়া যেত না। ৭ লক্ষ ৬০ হাজার বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে। ৩২০০ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গ-দক্ষিণবঙ্গ সংযোগকারী রাস্তা তৈরি হবে৷ ৬০ বছর বয়স হলে প্রাপকরা সরাসরি বার্ধক্য ভাতায় নথিভুক্ত হবেন। আগামী বছর বাংলায় ৮ কোটি কর্ম দিবস তৈরি হবে।“
মাওবাদীদের দাপটে একসময় সন্ত্রস্ত ছিল জঙ্গলমহল। কিন্তু তৃণমূল জমানায় সরকারের উন্নয়নমূলক প্যাকেজের কারণে সেই পরিস্থিতি বদলেছে। এদিন বলরামপুর ফুটবল মাঠে সরকারি প্রধান অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গত ১১ বছরে বাঁকুড়ায় কোনও মাওবাদী হামলা হয়নি। এদিনে অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে প্রায় ১৫০ কোটি টাকার ৩৭টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও প্রায় ১৯০ কোটি টাকার ৩৫টি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। ১০০ দিনের কাজ থেকে আবাস যোজনা নিয়ে কেন্দ্রকে কটাক্ষও করেন৷