মহিলাদের ক্ষমতায়নে বাংলা বিশ্বে ১ নম্বর। শুক্রবার, বাঁকুড়ার ২ নম্বর ব্লকের বলরামপুর ফুটবল মাঠে সরকারি পরিষেবা অনুষ্ঠান থেকেও নারী ক্ষমতায়নের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কন্যাশ্রী থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার হয়ে বার্ধক্যভাতা, সঙ্গে বিধবা ভাতা- মহিলাদের আজীবন আর্থিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Bengal- Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি মহিলাদের ক্ষমতায়নে আমরা সারা বিশ্বে এক নম্বর। এই মেয়েরাই একদিন দেশ চালাবে, বিশ্ব চালাবে।“
বুধবার, বাজেট ঘোষণায় অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya) জানান, “৬০ বছর পরেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প বন্ধ হবে না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রাপকরা ৬০ পেরলেই প্রতিমাসে ১ হাজার টাকা বার্ধক্য ভাতা পাবেন।“ এতদিন পর্যন্ত ৬০ বছর পর্যন্ত ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ পেতেন না মহিলারা। বার্ধক্য ভাতার জন্য আলাদা করে আবেদন করতে হত। কিন্তু এবার সেই ঝঞ্ঝাট থেকে মুক্তি মহিলাদের। স্কুলের অষ্টমশ্রেণি থেকেই কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় আসে সব সরকারি স্কুলের ছাত্রীরা। ১৮ বছরের পরে বিয়ে অথবা স্বনির্ভরতার জন্য ২৫ হাজার টাকা পান তাঁরা। একই সঙ্গে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য যোগ্য হন তাঁরা। একই সঙ্গে বিধবাভাতাও রয়েছে রাজ্য সরকারি প্রকল্পে। এরপর বার্ধক্যভাতা। তারও পদ্ধতি সুগম হল।
আরও পড়ুন: বিজেপিকে বসন্তের কোকিল বলে কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Bengal- Mamata Banerjee) বারাবরই মহিলাদের স্বনির্ভর হওয়ার বিষয়ে উদ্যোগী। সামাজিক-আর্থিক বিষয়ে মহিলাদের এগিয়ে যাওয়ার বিষয়ে উৎসাহ দেন তিনি। রাজনীতিতেও মহিলাদের যোগদানের জন্য আহ্বান জানান তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো। এবারের বাজেটে মহিলাদের জন্য আজীবন আর্থিক সুরক্ষার ব্যবস্থা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরেই এদিন বাঁকুড়ার সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের সেরা হবে বাংলার মেয়েরা। একদিনে যখন যোগীরাজ্য-সহ বিভিন্ন বিজেপি শাসিত রাজ্যে নারী নির্যাতনের হার দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হচ্ছে মা-মেয়েকে। সেখানে দাঁড়িয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এ রাজ্যের নারী ক্ষমতায়নের উপর জোর দিচ্ছেন। মহিলাদের এগিয়ে যাওয়ার জন্য সব রকম সরকারি সুবিধা দিচ্ছেন। তাঁর আশা, একদিন বিশ্বে সেরা হবে বাংলার মেয়েরা।l