সংবাদদাতা, বাঁকুড়া: নিম্নচাপের ফলে প্রবল বৃষ্টিতে বাঁকুড়া শহরের সঙ্গে দক্ষিণ বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের যোগাযোগ বন্ধ। বাঁকুড়া ঝাড়গ্রাম ন নম্বর রাজ্য সড়কে সিমলাপালে শিলাবতী নদীর সেতুর প্রায় পাঁচ ফুট উপর দিয়ে জল বইছে। নদীর দু পাড়ে থাকা শবদাহ শেডের ছাদের দেড় ফুট নিচে দিয়ে জল বইছে। ফলে শবদাহের জায়গা নেই। আনন্দপুর গঙ্গামেলা সংলগ্ন একাধিক গুমটি ও দোকানঘর জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে।
আরও পড়ুন-অক্টোবরেও রাজ্যে জারি থাকছে বিধিনিষেধ, পুজোয় বিশেষ ছাড়
যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের ছাদের পাশ দিয়ে জল বইছে। জঙ্গলমহলের একাধিক ভাসা পুল ভেঙে গেছে বলে খবর। শিলাবতী সেতু পারাপার করতে না পারায় অন্তত দু লক্ষ মানুষের প্রাথমিক চিকিৎসা পর্যন্ত বন্ধ। প্রবল বর্ষণে বড়জোড়া এলাকায় প্রচুর মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। স্থানীয় বিধায়ক তথা তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অলক মুখোপাধ্যায় মালিয়াড়া, মেটালি, লপাড়া, মাধমপুর মনহর, পিঙরুই এবং বেলিয়াতোড় ও খাড়ারি এলাকার চান্দুরিয়া, বৃন্দাবনপুর, কানাই নামাই, লাওতোরা ভৈরবপুর এলাকা ঘুরে বাসিন্দাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন।
আরও পড়ুন-হাইভোল্টেজ ভবানীপুরে ভিভিআইপিদের ভোটদান
খাতড়া মহকুমাশাসক মৈত্রী চক্রবর্তী জানালেন, দুপুর ১২টা পর্যন্ত পাওয়া হিসাব অনুযায়ী খাতড়া মহকুমায় ২৮৯টি মাটির বাড়ি ভেঙেছে। শিলাবতী নদী পার হওয়ার সময় যফলা গ্রামের সুভাষ গুলিমাঝি (৫০) বন্যার জলে ভেসে গিয়েছেন। বাঁকুড়া শহরের গন্ধেশ্বরী নদীর জল উপচে বাইপাস সংলগ্ন রাস্তা জলের তলায়। জেলায় কয়েক হাজার মাটির বাড়ি ভেঙেছে বলে খবর। ধান এবং সবজিচাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।