প্রতিবেদন : দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্ডার গ্রাজুয়েট কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে কমন এন্ট্রান্স টেস্ট চালু করতে চায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি (UGC)। এ বিষয়ে ইউজিসির সচিব মণীশ জোশী দেশের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে তাঁদের এই প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করে চিঠি পাঠিয়েছেন। উল্লেখ করা যেতে পারে, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে গত শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই নতুন নিয়ম চালু হয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকার এবং বেসরকারি সংস্থা পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনও এই নিয়ম চালু হয়নি। তবে ইউজিসির (UGC) এই প্রস্তাবে সহমত নয় একাধিক রাজ্য। যার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গও (West Bengal)। ২০২১ সালে ইউজিসির তৈরি করা একটি কমিটি গোটা দেশে কমন এন্ট্রান্স টেস্ট বা প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে আন্ডার গ্রাজুয়েট কোর্সে ভর্তির সুপারিশ করেছিল। ওই কমিটি তাদের সুপারিশে জানিয়েছিল, স্কুল স্তরের ফাইনাল পরীক্ষা এবং এন্ট্রান্স টেস্টের নম্বরের ৫০:৫০ অনুপাতের ভিত্তিতেই তৈরি হবে ভর্তির প্যানেল। এক্ষেত্রে ইউজিসির যুক্তি ছিল, এন্ট্রান্স টেস্ট হলে ছেলেমেয়েদের আর একাধিক প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসার প্রয়োজন হবে না। তবে কেন্দ্রীয় সরকার এই ৫০:৫০ অনুপাতের তত্ত্বটি মানেনি।
আরও পড়ুন: অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা জারি
তাই কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভর্তির ক্ষেত্রে শুধু এন্ট্রান্স টেস্টে প্রাপ্ত নম্বরকে মাপকাঠি হিসেবে ধরা হয়।
এখানেই শিক্ষামহলের একাংশ এবং একাধিক রাজ্য সরকার আপত্তি তুলেছে। তারা পাল্টা জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে ধারাবাহিকভাবে অর্জিত শিক্ষা কার্যত মূল্যহীন হয়ে পড়বে। এন্ট্রান্স টেস্টে সফল হওয়ার জন্য ছেলেমেয়েরা প্রাইভেট কোচিং সেন্টারে যেতে বাধ্য হবে। বাড়বে প্রাইভেট কোচিংয়ের ব্যবসা। সাধারণ ও গরিব ঘরের ছেলে মেয়েরা এই নতুন ব্যবস্থায় চরম সমস্যার মুখে পড়বেন। সাধারণ ঘরের মেধাবী ছেলেমেয়েরা স্কুল স্তরে উল্লেখযোগ্য ফল করেও ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলিতে ভর্তির সুযোগ পাবে না।