নয়াদিল্লি : বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হতে চলেছে কিছুদিন পরেই। প্রথম পর্বে সংসদের উভয়কক্ষেই দেখা গিয়েছিল বিরোধী ঐক্য। এরই মধ্যে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে বিজেপি বিরোধী জোট নিয়ে চর্চাও শুরু হয়েছে। বিজেপিকে ঠেকাতে বিরোধী দলগুলিকে তাদের সঙ্গে এক মঞ্চে আসার আহ্বান জানিয়েছে কংগ্রেস।
আরও পড়ুন-নির্বাচন কমিশন ভেঙে দেওয়া উচিত, তোপ দাগলেন উদ্ধব
তবে যেভাবে বারবার কংগ্রেসের বেশকিছু বর্ষীয়ান নেতা নাম না করে তৃণমূল কংগ্রেসকে টার্গেট করেছেন, তার জবাবে কংগ্রেসকে তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা, ট্যুইটের রাজনীতি বন্ধ করে ময়দানে নেমে রাজনীতি করুক কংগ্রেস।
এরপর সুর নরম করেছেন কংগ্রেস নেতা কে সি বেণুগোপালও। তাঁর মতে, এই মুহূর্তে কংগ্রেসের একার শক্তিতে বিজেপিকে ঠেকানো সম্ভব নয়। বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগাভাগি ঠেকাতে বিরোধী ঐক্য গড়ে তোলা একটি আবশ্যিক শর্ত। তবে কে সি বেণুগোপালের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বক্তব্যের জবাবে সুদীপ বলেন, বিজেপি বিরোধী রাজনীতি কীভাবে করা উচিত দেখিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-ঝাড়গ্রামে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-মিছিল, পথসভা
ফলে অন্য কোনও দলের থেকে জাতীয় রাজনীতির পাঠ নেওয়ার প্রয়োজন নেই তৃণমূলের। বিরোধী ঐক্যের পক্ষে থাকলেও কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের কটাক্ষ নিয়ে কড়া আপত্তি জানিয়েছেন সুদীপ। তাঁর মতে, আগে তৃণমূলের সমালোচনা বন্ধ করতে হবে কংগ্রেস নেতাদের। তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা বলেন, খাড়গের ঘরে বৈঠকে আমি একদিনই গিয়েছিলাম। সেখানে কেউ চেয়েছিলেন যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্ত, আমরা বলেছিলাম সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণে তদন্ত। দ্বিতীয় দিন থেকে সেই বৈঠকে আমরা যাইনি। কারণ, তৃণমূলকে কংগ্রেসের ঘরে বৈঠক করে রাজনৈতিক রূপরেখা তৈরি করতে হয় না। তার জন্য সংসদীয় দল এবং মাথার ওপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন, সেটাই যথেষ্ট।