নয়াদিল্লি : সংসদে সভা চলাকালীন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ এনে স্বাধিকারভঙ্গের নোটিশ জারি করল রাজ্যসভা। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড় এই মর্মে নোটিশ পাঠিয়েছেন রাজ্যসভার স্বাধিকাররক্ষা কমিটির কাছে। বিরোধী দলের ১২ জন সাংসদের নামে স্বাধিকারভঙ্গের নোটিশ জারি করেছেন চেয়ারম্যান। এই ১২ জন সাংসদের মধ্যে ৯ জন কংগ্রেসের এবং তিনজন আম আদমি পার্টির।
আরও পড়ুন-সাংসদ হওয়ার পর ৩ বছরে রাজ্যসভায় একটিও প্রশ্ন নেই রঞ্জন গগৈয়ের
রাজ্যসভায় অধিবেশন চলাকালীন সরকার বিরোধী স্লোগান তুলে সংশ্লিষ্ট সাংসদরা ওয়েলে নেমে এসেছিলেন বলে অভিযোগ। বাজেট অধিবেশনের প্রথম পর্বে আদানি-হিন্ডেনবার্গ ইস্যুতে বারবার সুর চড়িয়েছিলেন তৃণমূল, কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলের সাংসদরা। পাশাপাশি কংগ্রেস সাংসদ রজনী পাতিলের সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবি নিয়েও উত্তাল হয়েছিল রাজ্যসভার কক্ষ। এবার চেয়ারম্যানের এই একতরফা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা। কংগ্রেসের ইমরান প্রতাপগড়ী ট্যুইটে কটাক্ষ করে বলেছেন, সংসদে আদানি দুর্নীতির বিষয়টি তোলা অপরাধ। আদানিকে ‘জাতীয় ব্যবসায়ী’ ঘোষণা করা উচিত সরকারের। যাতে তাঁর সমালোচনা করা দেশের গৌরবে আঘাত করার সমান হয়।
আরও পড়ুন-জুনেইদ-নাসিরকে পুড়িয়ে খুন, হত্যাকারীরা সবাই গোরক্ষা বাহিনীর সদস্য, যোগাযোগ মিলেছে হরিয়ানা পুলিশের
আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং বলেন, ১২ জন সাংসদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। আদানি দুর্নীতি ইস্যু সংসদে তোলা কীভাবে স্বাধিকারভঙ্গ হতে পারে? জনগণের কথা বলার জন্যই সংসদে এসেছি সেটাই করে যাব। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার সংসদকে ঘন অন্ধকারাচ্ছন্ন কক্ষে পরিণত করতে চায় বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, দুই কক্ষে বিভিন্ন ইস্যু তুলতে আমরা নানা পথ বের করব। দেশবাসীর সত্য জানা উচিত। তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস, ডিএমকে, বিআরএস, আপ, সিপিএম, জেডিইউ, শিবসেনা, আরজেডির মতো বিরোধী দলগুলির আওয়াজ বন্ধ করা যাবে না। রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত নিয়ে এভাবেই কড়া প্রতিক্রিয়া জানান তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন।