কাবুল : সুইজারল্যান্ডের আফগানিস্তান দূতাবাস থেকে নতুন সরকার গঠনের ঘোষণা করা হল। আশরাফ ঘানি সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমারুল্লা সালেহর নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠনের কথা ঘোষণা করল আফগানিস্তানের ইসলামিক প্রজাতন্ত্র। তালিবানের পাল্টা এই নয়া উদ্যোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: জেলে গ্যাংওয়ার, মৃত্যু বেড়ে ১১৬
খামা প্রেস নামে স্থানীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, বুধবার সুইজারল্যান্ডের আফগান দূতাবাস থেকে নির্বাসিত সরকারের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এই নির্বাসিত আফগান সরকার পঞ্জশিরে আহমেদ মাসুদের নেতৃত্বাধীন তালিবান বিরোধী শক্তিকে সব ধরনের সমর্থন করবে। আহমেদ মাসুদের নেতৃত্বাধীন বিরোধী শক্তিই বৈধ। নতুন সরকার তার ঘোষণায় তালিবানকে বিদেশি শক্তি বলে উল্লেখ করেছে। নতুন সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার কারণে কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেশকে নেতৃত্ব দেবেন আমারুল্লা। যত শীঘ্র সম্ভব দেশের নিজস্ব আইনসভা, সংসদ ও বিচারবিভাগ গঠন করবে নির্বাসিত সরকার। একই সঙ্গে চলবে তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াই।
প্রসঙ্গত, তালিবান আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর পঞ্জশিরে মাসুদের নেতৃত্বে নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের সঙ্গে জোট করে জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়ছিলেন আমারুল্লা। তালিবান ও পাক বিমান বাহিনীর যৌথ হামলায় মাসুদ বাহিনী অবশ্য উপত্যকায় জনবসতিগুলি হাতছাড়া করেছে। তবে পঞ্জশিরের দুর্ধর্ষ যোদ্ধারা এখনও পর্যন্ত হিন্দুকুশের দুর্গম পাহাড়ি এলাকাগুলি নিজেদের নিয়ন্ত্রণেই রেখেছে। ওই দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকেই সালেহর নেতৃত্বে নতুন সরকার তালিবানের বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদী গেরিলা যুদ্ধ চালাতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের অনুমান। আটের দশকে এই রণকৌশলেই সোভিয়েত রাশিয়ার সেনার মোকাবিলা করেছিলেন আহমেদ মাসুদের বাবা।
আরও পড়ুন: পাক মাটিতে ভারতের সঙ্গী চিন!
নির্বাসিত সরকারের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, আফগানিস্তানে তালিবানের বিরুদ্ধে যে প্রতিরোধ শুরু হয়েছে তা চলবে। কারণ তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াই এখনও শেষ হয়নি। কিছুদিন আগেই এক ভয়াবহ সংঘর্ষে পঞ্জশির উপত্যকায় তালিবানরা নৃশংসভাবে খুন করে আমারুল্লার দাদা রুহুল্লা সালেহকে।