সংবাদদাতা, হাওড়া : হাওড়া-আমতা লোকাল দুর্ঘটনা নিয়ে রেলের উদাসীনতা অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনার পর রেলের তরফে প্রেস রিলিজ দিয়ে জানানো হয়েছিল, দুর্ঘটনায় আহতের কোনও খবর নেই। কিন্তু একাধিক যাত্রী আহত হন। তাঁদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়। একজনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক হওয়ায় রবীন বাগ নামে ওই যাত্রীকে হাওড়া জেলা হাসপাতাল হয়ে কলকাতার এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে তাঁর পায়ে জটিল অস্ত্রোপচার করা হয়।
আরও পড়ুন-মহারাষ্ট্রে ৫১২ কেজি পেঁয়াজ বেচে কৃষক পেলেন ২ টাকা
আহতদের চিকিৎসার সমস্ত দায়দায়িত্ব গ্রহণ করে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দুর্ঘটনার পরেই জনস্বাস্থ্য কারিগরি ও পূর্তমন্ত্রী পুলক রায় হাওড়া জেলা হাসপাতালে গিয়ে আহত যাত্রীর পাশে দাঁড়ান। আহত যাত্রীর জন্য মুখ্যমন্ত্রীর তরফে পাঠানো ফল তাঁর বাড়ির লোকেদের হাতে তুলে দেন মন্ত্রী পুলক রায়। মন্ত্রী দাঁড়িয়ে থেকে আহত রবীন বাগকে এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করার ব্যবস্থা করেন। আহতদের পাশে তাঁদের চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব রাজ্য সরকার নিচ্ছে বলে মন্ত্রী পুলক রায় জানিয়ে দেন। এদিকে প্রথমে কোনও আহতের খবর নেই বলে রেল জানালেও অবশেষে ঘটনার পরের দিন শুক্রবার দু’জন আহত যাত্রীকে ২৫ হাজার টাকা করে চিকিৎসার খরচবাবদ দিয়ে দায় সারে রেল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন-খুলল ২ বগির সংযোগকারী পিন
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্যকুমার চৌধুরি জানান, ‘‘দু’জন যাত্রী সামান্য জখম হয়েছিলেন বলে আমরা পরে জানতে পারি। তাঁদের রেলের তরফ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে চিকিৎসার জন্য দেওয়া হয়েছে।’’ কিন্তু দুর্ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি কমবেশি জখম হওয়ায় মাত্র দু’জনকে কেন চিকিৎসার খরচ দিল রেল তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রেল যাত্রীরা। এমনকী এসএসকেএভে ভর্তি রবীন বাগ নামের যাত্রীর অবস্থা এখনও সংকটজনক হওয়ায় কী করে তাঁর আঘাত সামান্য বলছে রেল তাই নিয়েও সরব হয়েছেন অনেকেই। এলাকার বিধায়ক সীতানাথ ঘোষ বলেন, ‘‘যাত্রী পরিষেবা, স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপত্তা নিয়ে রেলের যে কোনও হুঁশ নেই এই ঘটনায় তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল।’’