প্রতিবেদন : একদিকে পর্যটকদের উপর গন্ডারের হামলা অন্যদিকে চোরাশিকারির ফাঁদ থেকে উদ্ধার করা হল চিতাকে। প্রথমটি জলদাপাড়া ও পরেরটি বানারহাটের। এতদিন ছিল লোকালয়ে কিংবা জঙ্গলে হাতির আক্রমণ। এবার গন্ডারের। কেন এই ধরনের ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে সে নিয়ে বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাঁজ।
আরও পড়ুন-গ্রামবাসীরা নিশীথকে তাড়ালেন ঘাড়ধাক্কা দিয়ে, সুকান্তও বিপাকে
বেনজির দুর্ঘটনা জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে। পর্যটক নিয়ে গাড়িটি সাফারি করার সময় বনপথে একটি গন্ডার আচমকাই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে, সঙ্গে তার শাবক। জিপসিটিকে দেখামাত্রই নিজের সন্তানের নিরাপত্তার কথা ভেবে আক্রমণ চালায় গন্ডারটি। বনপথের পাশের নর্দমায় উল্টে দেয় গাড়িটিকে। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন চালক-সহ সাতজন। প্রত্যেককেই তড়িঘড়ি উদ্ধার করে প্রথমে মাদারিহাট স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। জলদাপাড়ার ইতিহাসে গণ্ডারদের এই ধরনের বেপরোয়া আক্রমণের নজির নেই। শিলিগুড়ির পর্যটক নীতিকা দে গুরুতর আহত হয়ে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ভর্তি। বাকিদের চিকিৎসা চলছে মাদারিহাট স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। দুর্ঘটনায় জখম হয়েছেন ঈশানী পাল, নীল পাল, প্রদীপ্ত মুখোপাধ্যায়, দীপান্বিতা নাহা, নীতিকা দে ও গাইড মিঠুন বিশ্বাস।
আরও পড়ুন-ওড়িশায় গাড়ি দুর্ঘটনা, বাংলার সাত শ্রমিক হত, পাশে মুখ্যমন্ত্রী
অন্যদিকে বানারহাটে চোরাশিকারিদের পাতা ফাঁদে পড়ে চিতাবাঘ। শনিবার দুপুরে স্থানীয়রা পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তার গর্জন শুনতে পান। ঘটনাস্থলে আসেন বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণ কর্মী ও মরাঘাট রেঞ্জের বনকর্মীরা। ঘটনাটি বানারহাট ব্লকের হলদিবাড়ি চা-বাগান সংলগ্ন মরাঘাট রেঞ্জের সিএমজি ১২ ক এলাকায়। ফাঁদে পা আটকে যাওয়ায় বাঘটির পায়ে আঘাত লাগে। এরপরে বনকর্মীরা ঘুমপাড়ানি গুলি করে তাকে খাঁচাবন্দি করে।