প্রতিবেদন : ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনায় নয়া মোড়। ভারত সীমান্তের স্পর্শকাতর এলাকায় মোতায়েন পাক সেনা। ভারতের ওপর চাপ বাড়াতেই এই নিয়োগ কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। জানা গিয়েছে, চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি বা লাল ফৌজের সদর দফতরে নিয়োগ করা হচ্ছে পাকিস্তানি সেনা অফিসারকে। পাক সেনার লিয়াজোঁ অফিসার চিনের ওয়েস্টার্ন কমান্ড এবং সাদার্ন কমান্ডের সদর দফতরে কাজ করবেন। দু’দেশের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানের জন্য এই নিয়োগ বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন : শনিবার মেঘালয়ে জয়যাত্রা শুরু
প্রসঙ্গত, লালফৌজের ওয়েস্টার্ন কমান্ড যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ এই ওয়েস্টার্ন কমান্ডের হাতেই রয়েছে ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় নজরদারি চালানোর দায়িত্ব। পাশাপাশি স্বশাসিত তিব্বতের ওপরেও নজরদারি চালায় লাল ফৌজের ওয়েস্টার্ন কমান্ড। সেপ্টেম্বর মাসে জিনপিং সরকার মেজর জেনারেল ওয়াং হাজিয়াংকে ওয়েস্টার্ন কমান্ডের নতুন প্রধান হিসেবে নিয়োগ করেছে। সম্প্রতি ভারত-চিন সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা এলাকায় তীব্র অশান্তি ছড়ায়। দুই দেশের সেনাবাহিনী একে অপরের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগ করে। লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর চিন সীমান্তে তাদের সেনা সংখ্যা বিপুল বাড়িয়েছে। ভারতের তরফ থেকে চিনের এই আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, চিনের সাদার্ন কমান্ড হংকং এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। তাই লালফৌজের এই দুই সেনা কমান্ডের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই দুই গুরুত্বপূর্ণ কমান্ডে পাক সেনা অফিসারকে নিয়োগ ভারতের জন্য বিশেষ উদ্বেগের। দুই শত্রু দেশের এহেন যৌথ তৎপরতায় সীমান্তের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে চাপ বাড়ছে কেন্দ্রের। যদিও পাকিস্তান ও চিন দু-দেশেরই দাবি, সেনা-সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদানের জন্যই নাকি পাক সেনা অফিসারকে গুরুত্বপূর্ণ দুই সেনা কমান্ডে নিয়োগ করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে এই ব্যাখ্যা দেওয়া হলেও ভারত-চিন সীমান্ত নিয়ে ফের উত্তেজনা তৈরির আশঙ্কা।