প্রতিবেদন : আর মাত্র চার মাস পরে পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচন। নিজেদের অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণেই জেতা রাজ্য হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম কংগ্রেসের। মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর ভোটের আগে কংগ্রেসকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার শপথ করেছেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। শোনা যাচ্ছে, এবার তিনি নতুন দল গড়ার পথে। ভুল কৌশলে নিজেদের হাতে থাকা পাঞ্জাব রাজ্যের ক্ষমতায় ফেরার পথ নিজেরাই কঠিন করে ফেলেছে সোনিয়া গান্ধীর দল।
১৮ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার পর বুধবার তিনি দেখা করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে। এরপরই রাজনীতিতে জল্পনা শুরু হয়, ক্যাপ্টেন সম্ভবত বিজেপিতে যাচ্ছেন। যদিও সেই রাজনৈতিক জল্পনাকে নস্যাৎ করে ক্যাপ্টেন বলেছিলেন, তিনি বিজেপিতে যাচ্ছেন না। আবার কংগ্রেসেও থাকছেন না। স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক মহলে ক্যাপ্টেনের ভবিষ্যৎ কর্মসূচি নিয়ে একটা কৌতুহল তৈরি হয়েছিল। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সেই কৌতূহলের কিছুটা নিরসন করেছে। ওই সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, খুব শীঘ্রই নিজের রাজনৈতিক দল তৈরি করতে চলেছেন অমরিন্দর। এই দল পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে সব আসনেই প্রার্থী দেবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ১৫ দিনের মধ্যেই নতুন দল ঘোষণা করবেন অমরিন্দর। সূত্রের খবর, দল গঠনের ইঙ্গিত দেওয়ার পরেই ইতিমধ্যে রাজ্যের ডজনখানেক কংগ্রেস নেতা অমরিন্দরের সঙ্গে দেখা করেছেন।
আরও পড়ুন : সুপ্রিম তোপে কৃষক সংগঠন
অনেকেই তাঁর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। বিক্ষুব্ধ এই কংগ্রেস নেতারা অমরিন্দরকে তাঁর নতুন দলে যোগ দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। কিছুদিনের মধ্যেই রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু কংগ্রেস নেতার সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন অমরিন্দর। পাশাপাশি কৃষক নেতাদের সঙ্গেও অমরিন্দর দেখা করবেন বলে খবর। সূত্রের খবর, অমরিন্দর সিংয়ের নতুন দলের প্রচারের প্রধান বিষয় হবে কৃষি আইন ও কৃষক আন্দোলন। পাশাপাশি পাঞ্জাবের নিরাপত্তার বিষয়েও জোর দিচ্ছেন ক্যাপ্টেন। যদি বিজেপিতে যোগ না দিয়ে নিজের দল ঘোষণা করেন সেক্ষেত্রেও বিজেপি তাঁকে সব ধরনের মদত করবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আর তাতে বিপদ বাড়বে কংগ্রেসেরই।