প্রতিবেদন : ২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের হাথরসে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। শুধু দেশ নয়, এই ঘটনার ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছিল আন্তর্জাতিক দুনিয়াতেও। সেই ঘটনার আড়াই বছর পর হাথরসে গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজনকে বেকসুর খালাস বলে ঘোষণা করল উত্তরপ্রদেশ আদালত। একজন মাত্র অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এই রায় নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। ইতিমধ্যেই নির্যাতিতার পরিবার এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছে।
আরও পড়ুন-সবচেয়ে ধনী দল বিজেপি
গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত চারজনের মধ্যে একমাত্র সন্দীপ ঠাকুরকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। তবে এদিন রায় দেওয়া হলেও সাজা ঘোষণা করা হয়নি। সাজা ঘোষণা করা হবে পরে। বাকি তিন অভিযুক্ত সন্দীপের কাকা রবি এবং তাদের বন্ধু লবকুশ ও রামুকে মুক্তি দিয়েছে আদালত। দোষী প্রমাণিত হলেও এই মামলায় ধর্ষণ বা খুনের ঘটনায় নাম ছিল না সন্দীপের, এমনটাই জানিয়েছেন আদালতের এক আধিকারিক।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে ওই দলিত তরুণী, তার মা ও ভাইয়ের সঙ্গে মাঠে ঘাস কাটতে গিয়েছিল। সে সময়ে তাকে টেনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। শুধু তাই নয় গণধর্ষণের পর তাকে নৃশংসভাবে কোপানো হয়েছিল। ১৫ দিন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর তার মৃত্যু হয়।