সংবাদদাতা, কাটোয়া : এআরআই বা অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশনের (শ্বাসযন্ত্রে তীব্র সংক্রমণ) শিকার হয়ে দুই শিশুর মৃত্যুর পর অ্যাডিনো ভাইরাসের মোকাবিলায় তৎপরতা বাড়ল বর্ধমানে। যদিও ওই শিশু দুজনের মৃত্যু অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রমণেই কিনা, তা নিশ্চিত নয় বলে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি। নিশ্চিত হতে মৃত শিশুদের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে নড়েচড়ে বসেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন-আমজনতার সঙ্গে মিশে গেলেন জঙ্গলকন্যা বীরবাহা
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশমতো শিশুদের অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নেওয়া হয় পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে। সংক্রমণ রুখতে কী ধরনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, পরিকাঠামোগত কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে, সব কিছু খতিয়ে দেখতে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে পরিদর্শনে যান এই হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। সেখানে গিয়ে জেলা স্বাস্থ্যকর্তা ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘এখন শ্বাসকষ্টজনিত কারণে চিকিৎসাধীন শিশুরা ২৪ ঘণ্টাই চিকিৎসা পরিষেবা পাবে।’
আরও পড়ুন-পালযুগের ত্রিবিক্রম বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার কাটোয়ায়
এই মুহূর্তে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দুশোরও বেশি শিশু ভর্তি আছে। তাদের ৪০ শতাংশের অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ রয়েছে। এই হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা ১৮৪টি। হাসপাতালের রাধারানী ভবনে আরও ৪৮টি শয্যা বাড়ানো হচ্ছে। সংক্রমণ রুখতে আরও একগুচ্ছ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। শিশুদের ভিড়ের মধ্যে না থাকা, স্যানিটাইজার ও মাস্ক ব্যবহার করা নিয়ে আশাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে সচেতন করবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়। মহকুমা হাসপাতালগুলিতে শিশুদের বহির্বিভাগ বিকেল ৪টে পর্যন্ত খোলা থাকবে। এছাড়া জেলার প্রতিটি হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টার জন্য থাকবেন একজন করে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। অ্যাডিনো ভাইরাসের কবল থেকে শিশুদের যথাযথ সুরক্ষা দিতে বদ্ধপরিকর বর্ধমান জেলা।