প্রতিবেদন : বেতন নিয়ে যে সমস্যাই থাক না কেন, কোনও পড়ুয়াকে স্কুল থেকে তাড়ানো যাবে না। প্রত্যেককে পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিতে হবে। পড়ুয়াদের ন্যূনতম অধিকার ও সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। স্কুল ফি মামলায় বেসরকারি স্কুলগুলিকে শুক্রবার এই নির্দেশই দিল কলকাতা হাইকোর্ট। অভিযোগ উঠছে, পুরো বেতন দিতে না পারায় অনেক পড়ুয়াকে ক্লাস করতে দেওয়া হচ্ছে না, অথবা পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হচ্ছে না। এই নিয়েই মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। সেই মামলার শুনানি ছিল শুক্রবার।
আরও পড়ুন : মাথাপিছু আয়বৃদ্ধিতে সেরা বাংলা, ঘোষণা অমিত মিত্রর
বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি। স্কুলগুলির অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ মানছেন না অভিভাবকরা। বকেয়া বেতন মেটাচ্ছেন না তাঁরা। অন্যদিকে, অভিভাবকদের দাবি, আদালতের নির্দেশ মেনে ৮০ শতাংশ বেতন মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও স্কুল ফি বাড়ানো হচ্ছে। আর তার প্রতিবাদ করার জেরে অনেক পড়ুয়াকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি। এরপর বিচারপতি নির্দেশ দেন, সব পড়ুয়াকে পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে। তাদের বঞ্চিত করা যাবে না। অবিলম্বে স্কুলগুলিকে তাদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিতে হবে বলে জানায় আদালত। তবে বর্ধিত বেতন নিয়ে কিছু জানায়নি আদালত। বেসরকারি স্কুলগুলির ক্ষেত্রে বকেয়া ফি জমা করার জন্য আগেই ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছিল হাইকোর্ট। স্কুল ফি নিয়ে আদালত জানিয়েছিল, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে যে পড়ুয়াদের ফি এখনও বকেয়া রয়েছে, তার ৫০ শতাংশ অবিলম্বে মিটিয়ে দিতে হবে। আদালতের নির্দেশ ছিল, যে সকল পরিষেবা লকডাউন চলাকালীন স্কুল দিতে পারেনি, সে সংক্রান্ত কোনও ফিও নেওয়া যাবে না।