প্রতিবেদন : জলজীবন মিশন প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের প্রায় ৫৬ লক্ষ বাড়িতে নল বাহিত বিশুদ্ধ পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছে দিয়ে নতুন মাইল স্টোন ছুঁলো বাংলা। এপর্যন্ত ৫৫ লক্ষ ৯৪ হাজার ২৯৫ বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে বলে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর জানিয়েছে। রাজ্যে জলজীবন মিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ে এক কোটি ৩০ লক্ষ গ্রামীণ পরিবারে নলবহিত বিশুদ্ধ পানীয় জলের সংযোগ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সব থেকে বেশি সংযোগ দেওয়া হয়েছে নদিয়া জেলায়।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় এ রাজ্যে জলজীবন মিশন প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে এগচ্ছে। তবে কিছু এলাকায় পাইপ লাইন দেওয়ার পরেও জল পৌঁছচ্ছে না বলে অভিযোগ আসছে। সেই সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংযোগ দেওয়ার পর বাড়িতে নিয়মিত যাতে জল পৌঁছয়, সেই বিষয়টিও দেখার জন্য মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়া জেলায় ১২ লক্ষ ৭২ হাজার ৫১৬টি বাড়িতে সংযোগ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়। তার মধ্যে ৭ লক্ষ ৪৩ হাজার ৮৩০টি বাড়িতে জল সংযোগ দেওয়া হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় সেই সংখ্যা ৪ লক্ষ ৬১ হাজার ৫৯৬। বাঁকুড়া জেলায় ৩ লক্ষ ৪৮ হাজার ৬১৪টি বাড়িতে জল পৌঁছে গিয়েছে। আলিপুরদুয়ারের ৪০ শতাংশ বাড়িতে এই প্রকল্পে জল পৌঁছে গিয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলায় সবচেয়ে বেশি ১৮ লক্ষ ১৯ হাজার ৩৯০টি বাড়িতে সংযোগ দেওয়া হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে এই জেলাতেই জলজীবন মিশন প্রকল্পের কাজ কিছুটা ঢিমেতালে চলছে।
আরও পড়ুন-ফের আন্তর্জাতিক পুরস্কার রাজ্যের বার্লিনে ৮ মার্চ
এখনও পর্যন্ত ৫ লক্ষ ৩২ হাজার ৭৯৪টি বাড়িতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে সংযোগ দেওয়া হয়েছে। আবার বীরভূম জেলাতেও এই প্রকল্পের কাজ গতি পায়নি। ৮ লক্ষ ৫৪ হাজার ৫৬৬টি বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়ার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত এই জেলায় ২ লক্ষ ৪২ হাজার ১১১টি বাড়িতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল দেওয়া হয়েছে। হাওড়া জেলায় ৭ লক্ষ ৪৮ হাজার ৪৩৬টির মধ্যে ২ লক্ষ ৬ হাজার ১১১টি বাড়িতে জল পৌঁছেছে। কোচবিহারে ২৭ শতাংশ, দক্ষিণ দিনাজপুরে ২৯ শতাংশ বাড়িতে সংযোগ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, জলজীবন মিশন প্রকল্পে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিনহাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। গত ২ অক্টোবর দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে জলজীবন মিশন প্রকল্প বাস্তবায়নে উৎকর্ষতার জন্য ভারত সেরার পুরস্কারও পেয়েছে রাজ্য সরকার।