নয়াদিল্লি : বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও স্বচ্ছতা নেই। বলা যায়, এটা শূন্য স্বচ্ছতার সরকার। কোনও বিরোধী নেতা নন, এই উপলদ্ধি সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি মদন ভীমরাও লোকুরের। এক সাক্ষাৎকারে নিজের মতামত দিয়েছেন লোকুর। অর্থাৎ নরেন্দ্র মোদি সরকারে যে কোনও স্বচ্ছতা নেই সেটা স্পষ্টই বুঝিয়ে দিলেন প্রাক্তন বিচারপতি লোকুর।
আরও পড়ুন-গাহিতে হয় দুই জনে
এম বি লোকুর এখন ফিজি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি লোকুর বলেন, সরকার বলছে উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগে প্রচলিত কলেজিয়াম ব্যবস্থায় স্বচ্ছতার অভাব আছে। কিন্তু কলেজিয়ামে কী ধরনের স্বচ্ছতা দরকার তা বলছে না। সরকারের মাধ্যমেই কলেজিয়ামের কাছে বিভিন্ন তথ্য আসে। তারপরেও সরকার কীভাবে বলছে স্বচ্ছতা নেই? আসলে এই সরকারের স্বচ্ছতা নেই। এটা শূন্য স্বচ্ছতার সরকার। কলেজিয়ামের সুপারিশের ফাইলগুলি আটকে রাখা হচ্ছে। তবে কেন ফাইলগুলি আটকে রাখা হচ্ছে তা বলছে না সরকার।
আরও পড়ুন-আদানির সঙ্গে ব্লক চুক্তি
বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কলেজিয়ামে সরকারের প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি প্রসঙ্গে লোকুর বলেন, চলতি প্রক্রিয়ায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সরকারের পূর্ণ অংশগ্রহণ রয়েছে। মতামত দেওয়ার পূর্ণ অধিকার রয়েছে সরকারের। কলেজিয়ামে শুধু সরকারের কোনও শারীরিক প্রতিনিধি নেই। বিচারপতি লোকুর স্পষ্ট বলেছেন যে, এই সরকার বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে অনড়। তবে সুপ্রিম কোর্ট চাইলে আদালত অবমাননার মামলা করতে পারে। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্ট এই দিকটা ভাববে কি না জানি না? সরকার সিদ্ধান্ত না মেনে অনড় থাকলে আদালত অবমাননার মামলা করাই একমাত্র রাস্তা।
আরও পড়ুন-ক্যাগের সতর্কবার্তা, ঋণের ফাঁদে জর্জরিত গুজরাত
প্রাক্তন বিচারপতি লোকুর আরও বলেন, মনে হচ্ছে কিছুটা হলেও সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের চাপে রয়েছে। তিনি কয়েকটি মামলার উদাহরণ দিয়ে বলেন, এসব মামলার শুনানি বিলম্বের কারণ সম্ভবত সুপ্রিম কোর্টের ওপর কেন্দ্রীয় সরকারের চাপ। উল্লেখ্য, উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে সরকার ও সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে টানাহ্যাঁচড়া চলছে। ২০২২ সালের নভেম্বরে, সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়ামের সুপারিশ অনুমোদনে সরকারের বিলম্বের বিষয়ে আইন ও বিচার মন্ত্রকের বিরুদ্ধে একটি নোটিশও জারি করেছিল।