প্রতিবেদন : শিশুদের মধ্যে শ্বাসযন্ত্রের (lungs) প্রবল সংক্রমণ তথা অ্যাডিনোর প্রকোপে রাশ পড়ার ইঙ্গিত মিলেছে। গরম বাড়ছে রাজ্যে। আর এই তাপমাত্রার ঊর্ধ্বগতি অ্যাডিনো-আতঙ্ক থেকে মুক্তি দেবে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ। যদিও সতর্কতা ও প্রস্তুতিতে কোনও ফাঁক রাখা হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তৎপর রয়েছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন-সেরা ধনী নন মাস্ক
ইতিমধ্যে ১২১টি হাসপাতালে ৬৫৪টি পিকু বা পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট, ১২০টি নিকু বা নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট এবং ২৪৭৬টি এসএনসিইউ বা সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট সহ মোট ৫ হাজার বেড তৈরি রাখা হয়েছে। তবে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে শিশুমৃত্যু এখনও বন্ধ হয়নি। জ্বর, নিউমোনিয়া, অ্যাডিনো ভাইরাসে শুক্রবার বি সি রায় হাসপাতালে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে তিনটি শিশুর। এর মধ্যে ১০ মাসের এক শিশুর প্রাণ কেড়েছে অ্যাডিনো ভাইরাস।
আরও পড়ুন-হোলিতে কম মেট্রো
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুটির বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের ময়না এলাকায়। অন্য দুটি শিশুর জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্টের উপসর্গ ছিল। এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনার মছলন্দপুরের বাসিন্দা ১ বছর ৩ মাস বয়সের একটি শিশুকে গতকাল রাতে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল থেকে বি সি রায় হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল। অন্য শিশুটির বাড়ি ক্যানিংয়ে। সব মিলিয়ে গত এক সপ্তাহে জ্বর, নিউমোনিয়া এবং অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণে রাজ্যে ৩০টির বেশি শিশুর মৃত্যু হল।