প্রতিবেদন : আবাস যোজনায় (Awas Yojana) রাজ্যে কোনও দুর্নীতিই হয়নি। রাজ্য সরকারকে (West Bengal Government) জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই ক্লিনচিট পাওয়ায় মুখ পুড়ল বঙ্গ বিজেপি নেতাদের। এখন প্রশ্ন, তাহলে এই দুর্নীতির ভুয়ো অভিযোগের দায়ে কাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হবে? দুর্নীতিই যেখানে হয়নি, তাহলে যে বা যাঁরা এই ভুয়ো অভিযোগ করেছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধেই এফআইআর করবে রাজ্য? রাজ্যে এসে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরাই বলেছিলেন, যাঁরা এই দুর্নীতিতে যুক্ত তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করুন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, গোটা রাজ্য ঘুরে ওই প্রকল্পে কোনও দুর্নীতিরই খোঁজ পেল না কেন্দ্রীয় দল। তাঁদের রিপোর্ট পাওয়ার পরই গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকও ক্লিনচিট দিল রাজ্যকে। সবমিলিয়ে আবাস যোজনা নিয়ে কুৎসার রাজনীতি বুমেরাং হল বঙ্গ বিজেপির কাছে। কেন্দ্রে তাঁদেরই দলের সরকার রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিল এ-রাজ্যে আবাস যোজনায় কোনও দুর্নীতি হয়নি। সেই সঙ্গে স্পষ্ট হয়ে গেল পুরোপুরি রাজনৈতিক স্বার্থেই বাংলার প্রাপ্য টাকা আটকাতে বঙ্গ বিজেপির নেতা শুভেন্দু-সুকান্তরা এই ঘৃণ্য চক্রান্ত করেছিলেন। বাংলার গরিব মানুষকে হকের টাকা থেকে বঞ্চিত করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে তাঁদের খেপিয়ে তোলাই যে বঙ্গ বিজেপি নেতাদের একমাত্র অ্যাজেন্ডা ছিল তাও স্পষ্ট হয়ে গেল। এভাবে ভুয়ো অভিযোগ করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগে নিজেদেরই মুখ পোড়াল বঙ্গের গেরুয়া ব্রিগেড। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে আবাস যোজনার (Awas Yojana) দুর্নীতিকে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে হাতিয়ার করার পরিকল্পনাও ভেস্তে গেল বিজেপির। ফলে এখন মুখ লুকানোর জায়গা খুঁজছেন সবজান্তা শুভেন্দু, সুকান্তরা।
আরও পড়ুন: রেল স্টেশনে ড্রোন হামলা!