প্রতিবেদন : সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকা ধর্মঘটের আগে, বৃহস্পতিবার কড়া নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। অর্থসচিব মনোজ পন্থের জারি করা এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, শুক্রবার সরকারি কর্মীদের কাজে যোগ দেওয়া বাধ্যতামূলক। ওইদিন প্রথম অথবা দ্বিতীয় ভাগে ক্যাজুয়াল লিভসহ কোনও ধরনের ছুটি মঞ্জুর করা হবে না। যদি কেউ অনুপস্থিত থাকেন তবে তাঁকে উপযুক্ত কারণ প্রমাণ সহ দাখিল করতে হবে। তবে কোনও কর্মী যদি হাসপাতালে ভর্তি থাকেন, পরিবারের কোনও সদস্য মারা যান, ৯ মার্চের আগে থেকে ছুটি নেওয়া থাকে, তা মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে হলেও এই নির্দেশিকা কার্যকর হবে না।
আরও পড়ুন-বেআইনি পার্কিং রুখতে কঠোর পুলিশ
যাঁরা মাতৃত্বকালীন ছুটি, অসুস্থতাজনিত, সন্তান প্রতিপালনের জন্য ছুটি আগে থেকেই নিয়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রেও এই নির্দেশিকা কার্যকর হবে না। তবে আজ, শুক্রবার যথার্থ কারণ ছাড়া কেউ কাজে যোগ না দিলে তাঁদের একদিনের বেতন কাটা যাবে। সেই সঙ্গে কর্মজীবন থেকে একদিনের ছেদ হবে। শিক্ষাক্ষেত্রেও শুক্রবার সবাইকে নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। সরকারপ্রোষিত সংস্থাগুলির ক্ষেত্রেও একই নির্দেশিকা বহাল থাকছে। এদিন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী সব দফতরের সচিব, জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে তিনি স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, কর্মীদের উপস্থিতির হার নিয়ে দ্রুত রিপোর্ট পাঠাতে হবে নবান্নে। কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় তার জন্য সবাইকে তৈরি থাকতে হবে। সরকার ধর্মঘট সমর্থন করে না।
আরও পড়ুন-ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকেই ছড়াচ্ছে সংক্রমণ, অ্যাডিনো নিয়ে বিজেপির রাজনীতি
সুতরাং ধর্মঘটের দিন সরকারের নির্দেশ যেন অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হয়। নির্দেশিকাতেও পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়েছে, যাঁরা শুক্রবার অনুপস্থিত থাকবেন, তাঁদের প্রত্যেককে শোকজ করা হবে। তথ্য-প্রমাণসহ সঠিক কারণ দর্শাতে না পারলে কেন তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না তার ব্যাখ্যা দিতে হবে কর্মীদের। আর যাঁকা শোকজের জবাব দেবেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ২৪ মার্চের মধ্যে এই সংক্রান্ত যাবতীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। ধর্মঘটের প্রতিবাদে মাঠে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেসপন্থী সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন। বামেদের প্রস্তাবিত ধর্মঘটকে কর্মনাশা আখ্যা দিয়ে তার বিরোধিতায় এদিন বিভিন্ন জায়গায় মিছিল বের করা হয় সংগঠনের তরফে।