কেরলের (Kerala) কোচিতে ফের লকডাউন (Lockdown)! ফের কোভিডের কারণে নাকি অন্য কিছু? এক সপ্তাহ আগে বর্জ্য কারখানায় আগুন লাগে। আর তাতেই দমবন্ধ পরিস্থিতি। শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছেন বহু মানুষ। একইসঙ্গে চোখজ্বালা এবং গলাজ্বালা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কোচিতে লকডাউনের বিধিনিষেধ চালু হয়েছে। বাড়ির বাইরে বেরনোয় রয়েছে কড়াকড়ি। বেরোলেও N95 মাস্কে পরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কোচির (Kochi) ব্রহ্মপুরমে একটি বর্জ্য কারখানায় বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুন লাগার পরের দিন তা নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু কালো ধোঁয়া বন্ধ করা যায়নি। ব্রহ্মপুরম ছাড়িয়ে সেই ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে আশেপাশেও। আকাশই দেখা যাচ্ছে না প্রায়। ৫০ হাজার টন আবর্জনায় আগুন ধরে গিয়েছিল বলে দমকল সূত্রে খবর। তার মধ্যে ৭০ শতাংশ জায়গা থেকেই ধোঁয়ার বেরোনো বন্ধ হয়েছে। কিন্তু প্লাস্টিকের জন্য বাকি ৩০ শতাংশ জায়গায় ধোঁয়া বন্ধ করা যাচ্ছে না। দমকলের ৩০টি দল মোতায়েন রয়েছে। নৌবাহিনীর হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উপর থেকে জল ছিটিয়ে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। কীভাবে আগুন লাগল তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: খারাপ সময় পিছু ছাড়ছে না, ফের বিপাকে ইমরান
ঘন কালো ধোঁয়া, সঙ্গে গন্ধ এর জেরে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অনেকেরই শ্বাসকষ্টের হচ্ছে। সঙ্গে চোখ জ্বালা, গলা জ্বালার সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কেরালা সরকারের তরফে স্থানীয়দের যত সম্ভব বাইরে বেরনো এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। আপাতত প্রাতঃভ্রমণ, বাইরে খেলাধুলো বন্ধ। কোচির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তো বটেই, পাশের এরনাকুলামের স্কুল-কলেজও বন্ধ রাখা হয়েছে। বাইরে বেরোলে N95 মাস্ক পরে বেরোতে হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের তরফে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সেখানে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা রয়েছেন। এই মুহূর্তে কোচির পরিস্থিতি কোভিডের ভয়াবহ স্মৃতি উসকে দিচ্ছে। কার্যত গৃহবন্দি (Lockdown) কোচি।