খুব কঠিন একটা মরশুম শেষ করতে চলেছে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। চোট-আঘাত, অসুস্থতা, খারাপ সময় কাটিয়ে যদি এবার আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হতে পারে দল, এর থেকে তৃপ্তির কিছু হতে পারে না। আমি মোহনবাগানের হাতেই ট্রফি দেখছি। ফাইনালে যদি প্রতিপক্ষ মুম্বই সিটি এফসি হত, তাহলে মোহনবাগান একটু বেশিই হয়তো চাপে থাকত। কিন্তু বেঙ্গালুরু এফসি বলেই আমি জুয়ান ফেরান্দোর দলকে নিয়ে আশাবাদী। ওদের সঙ্গে সেই আই লিগ থেকে যতবারই দেখা হয়েছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমরা জিতেছি। আইএসএলেও দু’দলের মুখোমুখি সাক্ষাতে মোহনবাগান অনেক এগিয়ে। ছ’বারের সাক্ষাতে চারবারই আমরা জিতেছি। সেখানে বেঙ্গালুরু জিতেছে মাত্র একবার। একটিতে ড্র।
আরও পড়ুন: প্রস্তুতি আশিকের, যাচ্ছেন দলের সঙ্গে
ফাইনালে যদিও পরিসংখ্যান খাটে না। দু’টি দলই খুব ভাল জায়গায় আছে। তবু বলছি, আমাদের খেলোয়াড়দের যে মান তাতে ফাইনালটা জেতা উচিত। মোহনবাগানই এগিয়ে থাকবে। নিরপেক্ষ মাঠে খেলা। গোয়া ফাইনালের জন্য খুব ভাল ভেনু। উপভোগ্য ম্যাচ হবে বলেই মনে করি। মোহনবাগানে খেলে যাওয়া রয় কৃষ্ণ, প্রবীর দাস, সন্দেশ ঝিঙ্গান, জাভি হার্নান্ডেজের মতো খেলোয়াড় বেঙ্গালুরু দলে রয়েছে। জাভি দারুণ ফুটবল খেলছে। ওকে বেশি জায়গা দেওয়া যাবে না। জাভির সেটপিসগুলোও বিপজ্জনক। জুয়ান নিশ্চয় তার তার প্ল্যান ‘এ’, প্ল্যান ‘বি’ তৈরি রাখবে।
আমার কাছে ফাইনাল ৫৫-৪৫। মোহনবাগানের (ATK Mohun Bagan) জেতার সম্ভাবনা ৫৫ শতাংশ, বেঙ্গালুরুর ৪৫ শতাংশ। একটাই চিন্তা, মোহনবাগান গোলমুখে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। গোল করার ক্ষেত্রে একটু দুর্বলতা থাকলেও মোহনবাগান এগিয়ে থাকবে। আমি চাইব, জুয়ান যেন ফাইনালে রণনীতিতে বড় কোনও পরিবর্তন না করে। তবে লিস্টন কোলাসো যতই অফ ফর্মে থাকুক, ওকে শুরু থেকেই খেলানো উচিত। ফাইনাল কিন্তু লিস্টনের ঘরে মাঠে। কে বলতে পারে, সেদিনই ও জ্বলে উঠবে না। কিয়ান নাসিরি বরং পরে নামুক। আশিক কুরুনিয়ন খেললে অবশ্য পরিকল্পনা বদলাবে। ভুললে চলবে না, মোহনবাগানের গোলে থাকবে দারুণ ফর্মে থাকা বিশাল কাইথ। সঙ্গে স্লাভকো, প্রীতমদের নিয়ে গড়া ডিফেন্স লাইন। আমি তো ট্রফি দেখতে পাচ্ছি।