প্রতিবেদন : দেশে আঞ্চলিক দলের নেতৃত্ব দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতীয় স্তরে বিজেপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে সমদূরত্ব বজায় রেখেই চলবে তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার কালীঘাটে দলের সাংগঠনিক বৈঠকে দলের অবস্থান স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি বলেন, জাতীয় রাজনীতির পরিসরে একাই চলবে তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ কংগ্রেসের দ্বিচারিতা মেনে নেবে না দল। বিকল্প নীতি নিয়েই পথ চলবে তৃণমূল কংগ্রেস। কোনও তৃতীয় ফ্রন্টের ভাবনা এই মুহূর্তে দলের নেই। নির্বাচনের পরে পরিস্থিতি অনুযায়ী আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।
আরও পড়ুন-তৃণমূলের দুর্গ থাকবে বাংলা, দিল্লি থেকে উৎখাত হবে বিজেপি, মনোবল তুঙ্গে সর্বাত্মক অভিযান
এদিন নেত্রীর সঙ্গে দেখা করেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব। বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে প্রধান মুখ তা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেন তিনি। আগামী ২৩ মার্চ ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে নেত্রীর। এদিন সাংবাদিক বৈঠকেও সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যয় ও মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ২০২৪-এর নির্বাচনে অবিজেপি-অকংগ্রেসি আঞ্চলিক দলগুলি যে যেখানে শক্তিশালী তারা সেখানে লড়াই করুক। লোকসভা নির্বাচনের লড়াইয়ে কোনও অবস্থাতেই কংগ্রেসের সঙ্গে একসঙ্গে পথ চলবে না তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ, বাংলায় তারা বিজেপি ও সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারকে বিপাকে ফেলার খেলায় নামবে। সরকারকে অপদস্থ করবে, আর যখন দিল্লিতে তৃণমূল কংগ্রেসকে তাদের দরকার হবে তখন তারা একসঙ্গে চলার কথা বলবে— এই দ্বিচারিতা চলতে পারে না। বক্তব্য তৃণমূল নেত্রীর।
আরও পড়ুন-বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে আঞ্চলিক দলগুলিকে এক ছাতার তলায় আনার চেষ্টা তৃণমূলের
একই কথা এদিন সাংগঠনিক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলে গেলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। জাতীয় স্তরে কংগ্রেস যে আসলে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আগ্রহী নয়, তাদের একাধিক পদক্ষেপেই তা পরিষ্কার। নেতৃত্ব ও অভিজ্ঞতার প্রশ্নে অবিজেপি-অকংগ্রেসি আঞ্চলিক দলগুলির কাছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রহণযোগ্যতা যে প্রশ্নাতীত একথা উল্লেখ করে সাংসদ ও লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা সুদীপ বন্দোপাধ্যায় বৈঠকে বলেন, আগে এনডিএ জোটে ১৮টি দল ছিল। এখন আছে মাত্র চারটি দল। বাকি ১৪টি দল বেরিয়ে গেছে। আমরা এই ১৪টি দলের সঙ্গেও কথা বলছি। বাকি আঞ্চলিক দলের সঙ্গেও আমার নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেতৃত্বে চাইছেন। কেন্দ্রের বঞ্চনা ও জাতীয় স্তরে সামগ্রিক ভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে সংসদের ভিতরে ও বাইরে লাগাতার লড়াই-আন্দোলন চালিয়ে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস।