প্রতিবেদন : গোটা দেশ সবেমাত্র করোনার আতঙ্ক কাটিয়ে উঠেছে। এরই মধ্যে নতুন করে হানা দিয়েছে অ্যাডিনো ভাইরাস এবং তার সঙ্গে হংকং ফ্লু। বিশেষজ্ঞরা হংকং ফ্লুকে এইচ-৩এন-২ ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস বলেও চিহ্নিত করেছেন। ইতিমধ্যেই এই হংকং ফ্লুতে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে আটজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। প্রথম মৃত্যুর খবরটি এসেছিল কর্নাটক থেকে।
আরও পড়ুন-ভোট না দিলে জুতোপেটা নিদান বিজেপি সাংসদের
পরবর্তী ক্ষেত্রে হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, ওড়িশা থেকেও মৃত্যুর খবর মিলেছে। হংকং ফ্লুতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি তিনজনের মৃত্যু হয়েছে মহারাষ্ট্রে। যার মধ্যে নাগপুরে দু’জন এবং আহমেদনগরে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই রাজ্যে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৫৭। পাশাপাশি মহারাষ্ট্রে এক বছর তেইশের মেডিক্যাল স্টুডেন্ট এইচ-১এন-১ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন।
আরও পড়ুন-মহারাষ্ট্রে বিজেপি জোটের ট্রোল, আর্মির নিশানায় এবার দেশের প্রধান বিচারপতি
গত এক সপ্তাহ ধরে এই ভাইরাসের দাপট বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পুরোপুরি গরম না পড়া পর্যন্ত হংকং ফ্লুর সংক্রমণ খুব একটা কমবে না তাই মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, হংকং ফ্লু আক্রান্তদের জ্বর, সর্দি-কাশি হবে। গা-হাত ও মাথায় থাকবে প্রচণ্ড যন্ত্রণা। সঙ্গে বমি বমি ভাব। কেউ কেউ শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগতে পারেন। এমনকী, অরুচির কারণে আক্রান্তরা কোনও কিছু খেতেও পারবেন না। এই ভাইরাস মানুষকে ভীষণভাবে দুর্বল করে দেবে। এই সংক্রমণের প্রভাব কাটতে কমপক্ষে দশদিন সময় লাগবে।