প্রতিবেদন : মার্কিন অর্থনীতিতে যে কী ধরনের মন্দা চলছে তার প্রমাণ মিলছে সে দেশে একের পর এক ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার খবরে। চলতি মাসের শুরুতেই সিলিকন ভ্যালি, তার দু’দিন পর সিগনেচার ব্যাঙ্ক নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে। দেউলিয়া হওয়ার পথে পা বাড়িয়েছে ফার্স্ট রিপাবলিক ব্যাঙ্কও। সেই মার্কিন মন্দার ঢেউ এসে পৌঁছল ইউরোপেও। দেউলিয়া হওয়ার পথে পা বাড়িয়েছে সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক বিনিয়োগ ব্যাঙ্ক ক্রেডিট সুইস।
আরও পড়ুন-জোড়া শূন্যের পরও সূর্যর পাশে রোহিত, বুধবার শেষ ম্যাচ, চেন্নাই পৌঁছলেন বিরাট
প্রবল মন্দার জেরে গত সপ্তাহে ক্রেডিট সুইস ব্যাঙ্কের শেয়ারে ধস নামে। শেয়ার দরে বড় মাপের পতন হওয়ায় এই ব্যাঙ্ক তার মোট সম্পদের এক-চতুর্থাংশই খুইয়ে ফেলে। সাময়িক ধাক্কা সামলাতে ব্যাঙ্কটি সরকারের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি ডলার ঋণ চেয়েছিল। তবে এই ঋণ পাওয়ার ব্যাপারে কোনও আশার খবর নেই।
এরই মধ্যে ক্রেডিট সুইস ব্যাঙ্ককে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছে ইউবিএস বা ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ সুইজারল্যান্ড। ইউবিএস সুইজারল্যান্ড সরকারকে জানিয়েছে যে, তারা ক্রেডিট সুইস ব্যাঙ্ক কিনতে আগ্রহী। তবে এজন্য সরকারের কাছ থেকে ৬০০ কোটি ডলার তারা ঋণ চেয়েছে। যদিও সুইজারল্যান্ড সরকার ওই ঋণ দিতে রাজি নয়। বরং তারা চাইছে কিছুটা কম মূল্যে ইউবিএস যেন ক্রেডিট সুইস ব্যাঙ্ক কিনে নেয়।
আরও পড়ুন-বিজয় মঞ্চে জনমোহিনী মুখ্যমন্ত্রীর ৫০ লাখ
উল্লেখ্য, ১৮৫৬ সালে গড়ে উঠেছিল ক্রেডিট সুইস ব্যাঙ্ক। ১৬০ বছরের বেশি পুরনো এই ব্যাঙ্ক বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ বিনিয়োগ এবং আর্থিক লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের প্রথম ৩০টি ব্যাঙ্কের মধ্যে ক্রেডিট সুইস ব্যাঙ্ক অন্যতম। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শেষ পর্যন্ত এই ব্যাঙ্কটি দেউলিয়া হয়ে বন্ধ হয়ে গেলে। গোটা বিশ্বের অর্থনীতিতেই তার প্রভাব পড়বে।
আরও পড়ুন-ফের ভর্ৎসনা কেন্দ্রকে, সেনা পেনশন মেটানোর সময়সীমা নিয়ে নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত
মনে করা হচ্ছে, ইউবিএস এখনই ক্রেডিট সুইস ব্যাঙ্ককে পুরোপুরি অধিগ্রহণ করবে না। তবে দুই ব্যাঙ্ক একসঙ্গে কাজ করবে। এর ফলে বহু কর্মী চাকরি হারাতেন পারে বলে আশঙ্কা। যদিও ইউরোপের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের আশা, খুব শীঘ্রই এই আর্থিক মন্দা কেটে যাবে। ফের নতুন করে ঘুরে দাঁড়াবে ক্রেডিট সুইস ব্যাঙ্ক।