প্রতিবেদন : তীব্র আর্থিক সংকটে জর্জরিত পাকিস্তান। দেশ বাঁচাতে একাধিক বন্ধু রাষ্ট্রের কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়েছিল পাকিস্তান সরকার। কিন্তু চিন, কাতার, সৌদি আরবের মতো পাকিস্তানের বন্ধু দেশগুলি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমি দেশগুলির কাছে সাহায্য চাওয়া ছাড়া বিকল্প কোনও পথ খোলা ছিল না শাহবাজ শরিফ সরকারের কাছে। শেষ পর্যন্ত পাক-সরকার পশ্চিমি দেশগুলির কাছে আর্থিক সাহায্য চাইল।
আরও পড়ুন-একাধিক ফোন দেখিয়ে ইডির দাবি ওড়ালেন কবিতা
শুধু সাহায্য চাওয়াই নয়, পশ্চিমি দেশগুলির গুডবুকে থাকার জন্য ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য করতে ট্যাঙ্ক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শাহবাজ শরিফ সরকার। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুর সময় থেকেই ইউক্রেনকে যুদ্ধসামগ্রী দিয়ে সাহায্য করে আসছিল পাকিস্তান। তবে আগে অস্ত্র, গোলাবারুদ পাঠালেও এই প্রথমবার ট্যাঙ্ক পাঠাতে চলেছে ইসলামাবাদ। সূত্রের খবর, ইউক্রেনকে ৪৪টি টি-৮০ইউডি মেন ব্যাটল ট্যাঙ্ক দেওয়ার কথা পরিকল্পনা করেছে পাক সরকার। তবে শুধু ট্যাঙ্ক পাঠানোই নয়, সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যন্ত্রাংশ, এবং গোলাবারুদও পাঠানোর বিষয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে ইউক্রেনের।
আরও পড়ুন-ভাগ্নি না বান্ধবী? শ্বেতাকে নিয়ে রহস্য
ভেঙে পড়া অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের কাছে অর্থসাহায্য চেয়েছিল পাকিস্তান। সাহায্য করার পরিবর্তে দিনকয়েক আগেই পাকিস্তানের উপর নতুন করে পাঁচ দফা শর্ত আরোপ করেছে আইএমএফ। যার মধ্যে আছে প্রতিরক্ষা বাজেট এবং সামরিক ব্যয় ১৫ শতাংশ হ্রাস করা এবং দূরপাল্লার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি পরিত্যাগ করা। পাশাপাশি চিনের ঋণ এবং সিপিইসি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষকে দিয়ে অডিট করাতে হবে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার আশ্বাসও চেয়েছে আইএমএফ। পাকিস্তানের বন্ধু দেশগুলি এক সময় আইএমএফের সঙ্গে ঋণের চুক্তির বিষয়ে ইসলামাবাদকে সাহায্য করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।