প্রতিবেদন : প্রতিবাদ বা ধর্মঘটে অংশ নিলেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারি কর্মচারীদের এমনটাই হুমকি দিল কেন্দ্রের মোদি সরকার। পুরাতন পেনশন প্রথা (ওপিএস) ফিরিয়ে আনার দাবিতে সারা দেশে ন্যাশনাল জয়েন্ট কাউন্সিল অফ অ্যাকশন জয়েন্ট ফোরাম ফর রিস্টোরেশন অফ ওল্ড পেনশন স্কিমের ব্যানারে আন্দোলনে নামার পরিকল্পনা নিয়েছে। সেই আবহে কেন্দ্রের তরফে এই নির্দেশিকা জারি করা হল।
আরও পড়ুন-ইউক্রেনকে অস্ত্র দিচ্ছে পাকিস্তান!
এই নির্দেশিকার কারণে ফের একবার সামনে এল মোদি সরকারের চরম দমন-পীড়ন নীতি। মোদির আমলে তাঁর সরকারের কোনওরকম বিরোধিতা করা হলেই কড়াভাবে তা দমন করা হয়েছে। এবার সরকারি কর্মীদের আন্দোলনের অধিকারও কেড়ে নিতে উদ্যত হল মোদি সরকার। কর্মীবর্গ ও প্রশিক্ষণ মন্ত্রকের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারের দফতরের সমস্ত সচিবদের কাছে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। ওই নির্দেশিকায় সরকারি কর্মীদের যে কোনও ধরনের ধর্মঘটে অংশ নেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-একাধিক ফোন দেখিয়ে ইডির দাবি ওড়ালেন কবিতা
নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, কর্মচারীদের ধর্মঘটে যোগ দেওয়ার কোনও বিধিবদ্ধ নিয়ম নেই৷ সুপ্রিম কোর্টও বেশ কয়েকটি মামলায় জানিয়েছে যে, ধর্মঘটে যাওয়া একটি গুরুতর নিয়ম লঙ্ঘন। সরকারি কর্মচারীদের নিয়ম লঙ্ঘনকে আইন অনুযায়ী মোকাবিলা করতে হবে। যদি কোনও কর্মী ধর্মঘটে অংশ নেন বা ওই দিন সুনির্দিষ্ট কোনও কারণে ছাড়াই অনুপস্থিত থাকেন বা প্রতিবাদে শামিল হন তাহলে তাঁকে কড়া শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। এমনকী, বেতনও কেটে নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।