প্রতিবেদন : নরেন্দ্র মোদি সরকারের আমলে ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। চাঞ্চল্যকর এই দাবি করা হয়েছে মার্কিন সরকারি রিপোর্টে। মার্কিন বিদেশ দফতরের বার্ষিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। এই ধরনের ঘটনার মধ্যে রয়েছে বেআইনি ও নির্বিচারে হত্যা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্ব করা, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের প্রতি হিংসার ঘটনা। ২০২২ সালে ভারতের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে ওই মার্কিন রিপোর্টে। রিপোর্টটি প্রকাশ্যে এনেছেন খোদ মার্কিন বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
আরও পড়ুন-ভাঁড়ারে টান, তবুও উন্নয়ন অব্যাহত
বাইডেন প্রশাসনের এই রিপোর্ট আরও একবার মোদি সরকারের মুখোশ খুলে দিল। ওই রিপোর্টে বিচারবহির্ভূত হত্যা, অমানবিক নির্যাতন, পুলিশি হেফাজতে নির্যাতন, বিচারাধীন বন্দিদের সঙ্গে জেল কর্তৃপক্ষের অমানবিক আচরণ বা শাস্তির মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও নির্বিচারে গ্রেফতার এবং আটক, রাজনৈতিক বন্দি বা বেআইনি হস্তক্ষেপ, হিংসার হুমকি, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা, সাংবাদিকদের অকারণে গ্রেফতার করা বা আটকে রাখা এমনকী তাঁদের কাজে বাধা দিতে ফৌজদারি মামলা দায়ের করার মতো একাধিক বিষয় ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। মার্কিন সরকারি রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ভারতে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা বিপন্ন। এমনকী, মানবাধিকার সংগঠনগুলির কাজেও আকছার হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-ভূমিকম্পের উৎসস্থল আফগানিস্তান, কম্পন অনুভূত এবার দিল্লিতেও
এর আগেও এক মার্কিন রিপোর্টে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ করা হয়েছিল। তবে সেই মার্কিন রিপোর্ট উড়িয়ে দিয়েছিল মোদি সরকার। কেন্দ্র দাবি করেছিল, দেশের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার রক্ষায় ভারতীয় গণতন্ত্রে সুনির্দিষ্ট আইন রয়েছে। তবে সদ্য প্রকাশিত মার্কিন রিপোর্ট মোদি সরকারের দাবি মানছে না। খোদ মার্কিন বিদেশমন্ত্রকের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ভারতে হামেশাই ইন্টারনেট স্বাধীনতার উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। একাধিক জায়গায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশও করতে দেওয়া হয় না। শুধু দেশীয় প্রতিষ্ঠান নয়, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলিকেও অকারণে হেনস্তা করা হয়েছে। ওই রিপোর্টে লিঙ্গ বৈষম্য, গার্হস্থ্য হিংসা, যৌনহিংসা, নারী নির্যাতন ও হত্যার কথাও তুলে ধরা হয়েছে। বাইডেন প্রশাসনের এই কড়া মতামতের পর মোদি সরকার কী বলে সেটাই দেখার।