প্রতিবেদন : শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে বামেদের নির্লজ্জ ভূমিকা বেআব্রু করে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণের বীজ সযত্নে রোপণ করা হয়েছিল দীর্ঘ সিপিএম জমানাতেই। এবং এসবই শ্বেতপত্র প্রকাশ করে মানুষের সামনে তুলে ধরা হবে। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানিয়ে তীব্র ভাষায় তিনি আক্রমণ করেন সিপিএমকে।
আরও পড়ুন-রাহুলের সাংসদ পদ বাতিল, কেন্দ্রকে তোপ তৃণমূলনেত্রী ও অভিষেকের
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর কলেজে নিয়োগ প্রসঙ্গে তাঁর স্পষ্ট কথা, কী হয়েছেন ঠিক জানা নেই। তবে আদৌ পরীক্ষা বা ইন্টারভিউ দিয়ে তিনি চাকরি পেয়েছিলেন কি না তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত হতেই পারে। সব বিষয়টা মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে কি না তা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেই ঠিক হবে। শুধু তাই নয়, ১৯৮৭ তে স্কুল সার্ভিস কমিশন গঠনের পর থেকে শিক্ষায় নিয়োগে যত দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণ হয়েছে তা সবই নজরে আনা হবে মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি নির্দেশ দিলে স্থির হবে পরবর্তী পদক্ষেপ। সদ্যপ্রকাশিত ক্যাগ রিপোর্ট বাম আমলে যে ৪৬ হাজার নিয়মবহির্ভূত চাকরির কথা বলা হয়েছে সে বিষয়েও বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করে পেশ করা হবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। তিনি যা বলবেন তাই করব। বাম আমলে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি কীভাবে সমস্ত মাত্রা ছাড়িয়েছিল তা স্পষ্ট করে দিতে শিক্ষামন্ত্রী তুলে ধরেন প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুর রেজ্জাক মোল্লার বক্তব্য, অধিকাংশ হোলটাইমারের পরিবারের লোকেদের চাকরি বাঁধা ছিল স্কুল বা কলেজে। শুধু তাই নয়, সিপিএমের একজন বড় নেতার স্ত্রী, কন্যা, পুত্র এবং পুত্রবধূর চাকরি হয়েছিল স্কুলে। এসবই প্রকাশিত হবে শ্বেতপত্রে। আদালত নির্দেশ দিলে তদন্ত হতেই পারে। জানালেন শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন-সাংসদ পদ খারিজ রাহুলের, বিক্ষোভে সামিল কংগ্রেস নেতারা
তাঁর প্রশ্ন, কেন এর তদন্ত করবে না কেন্দ্রীয় এজেন্সি? সিপিএমকে ক্লিনিকাল কুৎসাকারী অভিহিত করে ব্রাত্যর মন্তব্য, ক্ষমতা থেকে দূরে থেকে ক্ষমতা ফিরে পেতে ওরা মরিয়া হয়ে উঠেছে। কাজ করে না বড় বড় কথা বলে অন্যের কাজের খুঁত ধরে। তাঁর হুঁশিয়ারি, মুখ্যমন্ত্রীর ভদ্রতাকে দুর্বলতা বলে ভাববেন না। কাচের ঘরে বসে ঢিল ছুঁড়বেন না।