প্রতিবেদন : বাম জমানায় তফসিলি (Tapasili) জাতি ও উপজাতিভুক্তরা ছিল উপেক্ষিত। দফতরে দফতরে ঘুরে ঘুরে মিলত না জাতিগত শংসাপত্র ও পঠনপাঠনের সুযোগ-সুবিধা। এমনকী আর্থিক সহায়তা বলেও তাদের কিছুই ছিল না। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তফসিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত মানুষজনদের জীবনযাত্রাই বদলে গিয়েছে। একাধিক ক্ষেত্রে তিনি নিয়েছেন মানবিক পদক্ষেপ। এর পাশাপাশি মেধাশ্রী প্রকল্পে এরাজ্যে আবেদনপত্র জমা পড়েছে ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৫৪৬টি। এরমধ্যে প্রায় ৯০ হাজার ওবিসি পড়ুয়ার হাতে চলে গিয়েছে প্রকল্পের টাকা। মাত্র ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল আবেদন করার। কিন্তু তার মধ্যেই এই বিশাল সংখ্যায় আবেদন প্রমাণ করে দেয় মুখ্যমন্ত্রীর ওপর এ রাজ্যে ছাত্রছাত্রীদের আস্থার কথা। একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্র প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না রাজ্যকে। কিন্তু তা সত্ত্বেও যে মানবিক প্রকল্প উপহার দিয়েছেন তাতে মুখ্যমন্ত্রীকে এ রাজ্যের মানুষ সাধুবাদ জানিয়েছেন। বিরোধীদের সব কুৎসাকে প্রত্যাখ্যান করেছে এ রাজ্যের মানুষ। মোদি সরকার দেশে অনগ্রসর ছাত্রছাত্রীদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী মেধাশ্রী প্রকল্প ঘোষণা করে অনগ্রসর ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন আর্থিক সাহায্য নিয়ে। নিঃসন্দেহে যা নজির। নবান্নের হিসাব বলছে, এ পর্যন্ত ৯০ হাজার পড়ুয়া টাকা পেয়ে গিয়েছে। ৩১ মার্চের মধ্যে বাকি বৃত্তির টাকা ঢুকবে। সব মিলিয়ে এ খাতে ১০ কোটি টাকা খরচ করছে রাজ্য। এছাড়া গত ১১ বছরে তফসিলি জাতি ও উপজাতি ভুক্ত ১ কোটি ৫৬ লক্ষ মানুষকে জাতিগত শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। জয় জোহার প্রকল্পে ২ লক্ষ ৯১ হাজার উপজাতি মানুষ বার্ধক্যভাতা পাচ্ছেন। তফসিলি (Tapasili) জাতিদের জন্য তফসিলিবন্ধু প্রকল্পে ১০ লাখ ৩০ হাজার মানুুষ পাচ্ছেন ভাতা। সাঁওতালি ভাষায় পঠনপাঠনে ৩০৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছে রাজ্যে। সব মিলিয়ে পিছিয়ে পড়া মানুষের সমাজের অগ্রভাগে নিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: মোদি-আদানি সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন, তাই নিশানা