সংবাদদাতা, সুন্দরবন : কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনাকে উপেক্ষা করেই সুন্দরবনবাসীর (Sundarbans) সুরক্ষার কথা ভেবে বড়সড় উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। সাড়ে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে দীর্ঘ ১৮৮০ মিটার কংক্রিটের বাঁধ তৈরি হবে সুন্দরবন এলাকায়। শুক্রবার সুন্দরবনের দুর্বল নদীবাঁধ পরিদর্শন ও নতুন বাঁধ তৈরির জায়গা ঘুরে দেখেন হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল। সঙ্গে ছিলেন সেচ দফতরের আধিকারিকেরা। বিধায়ক জানান, ‘কংক্রিটের বাঁধটি নির্মাণের জন্য আশপাশের বাসিন্দা কয়েকটি পরিবারকে পুনর্বাসন দেওয়া হবে। সামনেই ঝড়বৃষ্টির দিন আসছে। তাই আগেভাগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বঞ্চনার কারণে বসিরহাট জেলার সুন্দরবন-লাগোয়া হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি ১ ও ২ নম্বর ব্লক, হাড়োয়া, মিনাখাঁ, হাসনাবাদ এই ৬ ব্লকে কংক্রিটের বাঁধের কাজ শুরু হয়েও মাঝপথে থমকে গিয়েছিল। সামনেই বর্ষাকাল। ইতিমধ্যে সুন্দরবন-লাগোয়া রায়মঙ্গল, বেতনি, ইছামতী, ছোট কলাগাছি নদীর একাধিক জায়গায় নদীবাঁধ দুর্বল হয়ে পড়েছে, পাশাপাশি ফাটল চওড়া হয়েছে। মাটির ভাঙন শুরু হয়েছে। তাই বর্ষার আগেই কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ শুরু হয়েছে।’ যোগেশগঞ্জ পঞ্চায়েতের পাটগোরা গ্রামে দুর্বল রায়মঙ্গল নদীর ২৮০ ফুট কংক্রিট বাঁধের কাজ শুরু করার জন্য মাপজোক শুরু হয়েছে। কাজ শুরু করার আগে দশটি পরিবারকে পুনর্বাসনও দেওয়া হবে বলেও জানান বিধায়ক। শিগগিরই পাকা বাঁধের শুরুর পাশাপাশি দুর্বল নদীবাঁধগুলোর সংস্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও পঞ্চায়েতকে। রায়মঙ্গল নদীর বাঁধ পাকা হলে দক্ষিণ পাটঘরা, যোগেশগঞ্জ সরদারপাড়া-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের ঘরবাড়ি, কৃষিজমি নদীভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পাবে। বিধায়ক জানান, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশমতো সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের সহযোগিতায় সরকারের আর্থিক সহায়তায় ১ কোটি টাকায় ২৮০ মিটার বাঁধ নির্মাণ হচ্ছে। এ-ছাড়াও ২ কোটি টাকায় ৫০০ মিটার ও সাড়ে ৪ কোটি টাকায় ১১০০ মিটার আয়লা প্যাটার্নে কংক্রিট বাঁধ তৈরি হবে। এর ফলে সুন্দরবনের (Sundarbans) প্রান্তিক মানুষ ও চাষবাস রক্ষা পাবে। চাঙ্গা হবে গ্রামীণ অর্থনীতিও।’
আরও পড়ুন: তৃণমূল কংগ্রেসের আইটি সেলের জরুরি ঘােষণা