হাথরাসের পর লখিমপুর খেরা। যোগীরাজ্যে বর্বরতার নিদর্শন কম নেই। হাথরাসের মতো এবারও সাংসদদের প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাথরাসের ঘটনার পর যেমন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলকে নিগৃহীত দলিত পরিবারের কারও সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। লখিমপুরের ক্ষেত্রেও তাই হল। যোগীর পুলিশ মৃতদের দেহ নিয়ে গিয়ে পোষ্টমর্টেম করে তাঁদের দখলে রেখেই শেষকৃত্য করছে।
আরও পড়ুন-ইংল্যান্ড সিরিজ আমরাই জিতেছি : রোহিত শর্মা
সোমবার সন্ধ্যায় লখিমপুর খেরায় পৌঁছয় তৃণমূল সাংসদদের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। খেরায় পৌঁছনোর আগে থেকেই অবশ্য যোগীর পুলিশের ঘেরাটোপে চলে যান সাংসদরা। শেষ পর্যন্ত খেরায় যেতে পারলেও মৃতদের পরিবারের কারও সঙ্গে কথা বলা তো দূর, তাঁদের কাউকেই এলাকায় খুঁজে পাওয়া যায়নি। যোগীর পুলিশ তাঁদের কার্যত ভ্যানিশ করে দিয়েছে। যেমনটা করেছিল হাথরাসের ঘটনায়।
লখিমপুরে গিয়ে ওখানে কারও সঙ্গে কথা বলতে না পেরে সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার ও সুস্মিতা দেব ফিরে আসেন। তাঁরা হাসপাতালে গিয়েছিলেন আহতদের দেখতে। অন্য তিন সাংসদ দোলা সেন, প্রতিমা মণ্ডল ও আবিররঞ্জন বিশ্বাস লখিমপুরেই আছেন। মঙ্গলবার তাঁরা কৃষক পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন সাংসদ দোলা সেন।
আরও পড়ুন-বিশ্বকাপে মাঠে সত্তর শতাংশ দর্শক
এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরাই একমাত্র খেরা পর্যন্ত গিয়েছেন। অন্য কেউ লখিমপুরেও যাননি। এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন, ডাঃ কাকলী ঘোষ দস্তিদার, সুস্মিতা দেব, দোলা সেন, প্রতিমা মন্ডল এবং আবিররঞ্জন বিশ্বাস।
সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদারকে লখিমপুর থেকে জানালেন, যোগীর পুলিশ সবটাই দখলে নিয়ে নিয়েছে। গোটা এলাকা থমথমে হয়ে আছে। মৃতদের দেহ পুলিশ আগেই দখলে নিয়েছিল। এমনকি তাঁদের পরিবারের লোকজনকেও পুলিশ সরিয়ে ফেলেছে। তবে এদিন তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া আর কেউ এই এলাকায় যাননি। কাকলি ঘোষদস্তিদার বলেন, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সাংসদদের প্রতিনিধি দলটি এখানে এসেছিল। দলনেত্রী সবসময়ই নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্ত যোগীরাজ্যে যে ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা গণতন্ত্রের লজ্জা।