প্রতিবেদন : বিলকিসের ধর্ষক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ১১ জন খুনিকে গুজরাত সরকার আগাম মুক্তি দিয়েছিল। গুরুতর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত ওই ১১ জনের মুক্তির বিরোধিতা করেছিল বিভিন্ন মহল। স্বয়ং বিলকিস গুজরাত সরকারের ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টে। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে কেন্দ্র ও গুজরাত সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়ে নোটিশ দিল সর্বোচ্চ আদালত। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি কে এম জোসেফ ও বিচারপতি বি ভি নাগরত্নার পর্যবেক্ষণ, আসামীদের অপরাধ ছিল ভয়ঙ্কর ঘটনা।
আরও পড়ুন-আইআইটির আত্মঘাতী ছাত্রের সুইসাইড নোটে সহপাঠীর নাম
দুই বিচারপতি বলেন, আবেগের ভিত্তিতে নয়, কেবল আইন এবং আইনের বিধানের প্রেক্ষিতে তাঁরা সবকিছু খতিয়ে দেখবেন। ১৮ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। সোমবার বিলকিসের আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি জোসেফ ও নাগারত্না গুজরাত সরকার এবং কেন্দ্রকে আসামীদের আগাম মুক্তি সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের বিষয়ে যাবতীয় নথিপত্র আদালতে জমা করতে বলেছে। বিলকিসের ধর্ষকদের মুক্তির পরেই বিভিন্ন মহল থেকে তীব্র সমালোচনার মুখোমুখি হয় গুজরাত সরকার। সে সময় তারা জানায়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশ মেনেই তারা অপরাধীদের মুক্তি দিয়েছে। ওই মুক্তির বিরোধিতা করে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দায়ের হয়েছে পাঁচটি জনস্বার্থ মামলা।
আরও পড়ুন-স্বাস্থ্যসাথীর সমাধান
পৃথক একটি মামলা করেছেন বিলকিস। বিলকিসের আবেদনের শুনানির জন্য সোমবারই বিচারপতিদের নিয়ে নতুন বেঞ্চ গঠন করেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। নতুন বেঞ্চ শুনানির প্রথম দিনেই অপরাধীদের মুক্তির বিষয়ে কেন্দ্র ও গুজরাত সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়ে নোটিশ জারি করল।