সংবাদদাতা, দিঘা : বাংলা নববর্ষ আসন্ন। তার আগে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই দিঘায় জেলাসফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সময়ে দিঘার অন্যতম বিনোদন পার্ক ‘অমরাবতী’কে সাজাতে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থা প্রায় ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পেয়েছে। দীর্ঘদিনের পুরনো পরিকাঠামো ও উপকরণ নিয়ে চলছিল এটি। ইয়াস ও আমফান ঘূর্ণিঝড়ে পার্কের কিছু পরিকাঠামো ও বিনোদনী উপকরণ ক্ষতিগ্রস্তও হয়। জলাশয়ের উপর কাঠের সেতুটি ভেঙে যায়। ফলে পার্কের একটি অংশে পর্যটকরা যাতায়াত করতে পারতেন না।
আরও পড়ুন-চাকরি দুুর্নীতির আরও তথ্য উদয়নের
এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের কাছে নবরূপায়ণের একটি খসড়া প্রকল্প পাঠায় দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থা। আর্থিক অনুমোদন পাওয়ার পর কাজ শুরু হয়েছে। শিশুদের কাছে পার্কটিকে আরও আকর্ষণীয় করতে নারায়ণ দেবনাথের কার্টুন চরিত্র হাঁদাভোঁদার কাণ্ডকারখানা, বাহাদুর বেড়াল, বাঁটুল দি গ্রেটদের মডেল বসছে পার্কে। পার্কের ভাঙা কাঠের সেতুটি নতুনভাবে তৈরি হবে। জলাশয়ের চারদিক সৌন্দর্যায়নের লক্ষ্যে বসার আসন-সহ নানা উপকরণ যোগ হবে। রাজহাঁসের সংখ্যা বাড়বে। আরও আলো লাগাবে। শোনা যাবে সাউন্ড সিস্টেমে গান। সিসি ক্যামেরায় মুড়ে দেওয়া হবে গোটা পার্ক। পার্কের ‘ক্যাফেটেরিয়া’ রেস্তোরাঁটিও নতুনভাবে সাজবে।
আরও পড়ুন-বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত এমএএমসি-র কোয়ার্টার, প্রাক্তন কর্মীদের লিজ দেবে এডিডিএ
সব মিলিয়ে রীতিমতো আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে দিঘার অমরাবতী। পার্কের মাঝখানে দ্বীপের মতো অংশ আছে। সেখানে রয়েছে টিলার মতো ছোট পাহাড়। তার গা বেয়ে কৃত্রিম ঝরনা। জলাশয়ে রয়েছে প্যাডেল বোট। গাছগাছালিতে ভরা অপূর্ব পরিবেশে খাঁচার মধ্যে নানা প্রজাতির পাখপাখালির কলতান। তবে অন্যতম আকর্ষণ ছোট আকারের রোপওয়েটি, যা জলাশয়ের উপর দিয়ে বিস্তৃত। এসবের টানেই প্রতিদিন শিশুরা তো বটেই, সব বয়সের কয়েকশো পর্যটক অমরাবতী পার্ক বেড়াতে আসেন। নতুন করে সাজানোর কাজ শুরু হওয়ায় স্থানীয়রাও খুশি। উন্নয়ন সংস্থার মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক মানসকুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘পার্কটিকে সাজানো-গোছানোর কাজ চলছে জোরকদমে। এবার পর্যটকদের কাছে আরও রূপসী হয়ে উঠবে অমরাবতী।”