প্রতিবেদন : দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার হলেন কর্নাটকের বিজেপি বিধায়ক মাদল বিরুপাক্ষ। দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়া এই বিজেপি নেতা আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আদালত সেই আবেদন খারিজ করতেই সোমবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে লোকায়ুক্ত পুলিশ। গ্রেফতারি এড়াতে নিজের বিধানসভা এলাকা চান্নাগিরি ছেড়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন এই বিধায়ক। কিন্তু তামাকুরুর কায়াথসন্দ্রা টোলবুথের কাছে তাঁর গাড়ি আটক করে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন-অঙ্গনওয়াড়িতে এলপিজি
জানা গিয়েছে, বাবা বিরুপাক্ষ ও তাঁর আধিকারিক পুত্র প্রশান্ত মাদল যৌথভাবে দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন। কর্নাটক সোপস অ্যান্ড ডিটারজেন্ট লিমিটেড বা কেএসডিএল-এর চেয়ারম্যান ছিলেন বিরুপাক্ষ মাদল। সংস্থার বিভিন্ন টেন্ডার পাইয়ে দিতে ঠিকাদারদের কাছ থেকে বাবার হয়ে বিপুল পরিমাণ ঘুষ নিতেন বিধায়কের ছেলে প্রশান্ত। এক ঠিকাদারকে বরাত পাইয়ে দেওয়ার জন্য তিনি ৮১ লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন। কেএসডিএল-এর অফিসে বসেই বাবার হয়ে ঘুষের ৪০ লক্ষ টাকা নিচ্ছিলেন প্রশান্ত। সে সময় হাতেনাতে প্রশান্তকে ধরে ফেলা হয়।
আরও পড়ুন-পাভার্ডের গোলে তিন পয়েন্ট এমবাপেদের
এরপরই লোকায়ুক্ত পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। পুলিশ জানিয়েছে, কেএসডিএল-এর কাঁচামাল সরবরাহের জন্য বিভিন্ন ঠিকাদারকে বরাত পাইয়ে দিতে বিপুল টাকা ঘুষ নিতেন বিধায়ক বিরুপাক্ষ। বাবার হয়ে ঘুষের টাকা নিতেন তাঁর ছেলে প্রশান্ত। তদন্ত শুরু করে বিধায়ক বিরুপাক্ষের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে লোকায়ুক্ত পুলিশ প্রায় ৭ কোটি নগদ টাকা উদ্ধার করে। এত বিপুল পরিমাণ টাকা তাঁর বাড়িতে কেন ছিল এবং ওই টাকার উৎস কী, সে সম্পর্কে যথাযথ জবাব দিতে পারেননি মাদল। তাই দুর্নীতির দায়ে তাঁকে কেএসডিএল-এর চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত এই ঘটনায় সবদিক থেকে জড়িয়ে পড়েন মাদল।