অঙ্গনওয়াড়িতে এলপিজি

Must read

প্রতিবেদন : শিশু ও অন্তঃসত্ত্বাদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে রাজ্যের ৭১ হাজারের বেশি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে এলপিজি সংযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতর এর জন্য মোট ৩৩ কোটি ৩২ লক্ষ টাকার বেশি বরাদ্দ করেছে। শুধু আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির হাতে এই টাকা পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, কাঠকয়লা কিংবা কেরোসিনের স্টোভ জ্বালিয়ে রান্না করার সময় দূষণ ছড়িয়ে পড়ে। ধোঁয়া, কেরোসিন পোড়া গন্ধ ইত্যাদি মিশে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়, যা শিশু ও সন্তানসম্ভবা মহিলাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সেজন্য যেসব অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের নিজস্ব বাড়ি রয়েছে, আপাতত সেখানেই গ্যাস সংযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। প্রতি কেন্দ্রে দুটি করে সিলিন্ডার বরাদ্দ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। গ্যাস সংযোগ নেওয়ার কাজ শেষ হওয়ার পর বাকি পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে ।

আরও পড়ুন-পাভার্ডের গোলে তিন পয়েন্ট এমবাপেদের

বাংলার গ্রামে এমন বহু অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে, যেগুলি ভাড়াবাড়ি, ক্লাবঘর ইত্যাদি জায়গায় চলে। কাঠকয়লায় রান্না হয় বলে বিভিন্ন সময় সংশ্লিষ্ট ক্লাব কর্তৃপক্ষ বা বাড়ির মালিক বিরক্ত হন। বাধা দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। পাশাপাশি, এক্ষেত্রে রাঁধুনিদের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি থাকে। স্কুলের মিড-ডে-মিলের রান্না বহুদিন ধরে এলপিজি-তেই হচ্ছে। তাহলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কেন সেই ব্যবস্থা হবে না, এমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। অবশেষে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে সেই ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে। কেন্দ্রীয় সরকার রান্নার গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। গরিবদের হেঁশেলে এখন আর উজালা প্রকল্পের গ্যাস আসে না। এরমধ্যেই রাজ্য সরকার মহিলা ও শিশুদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে এই পদক্ষেপ নিয়েছে। যা বলা যেতে পারে মানবিক। অন্য রাজ্যে এই দৃষ্টান্ত নেই।

Latest article